করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের বৌদ্ধিক সম্পদ (ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি) সংরক্ষণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) উদ্যোগে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভারত ও সাউথ আফ্রিকা প্রথম এই পদক্ষেপের কথা সামনে এনেছে। তাদের মতে, এতে বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা বাড়বে। তবে ওষুধ উৎপাদকদের মতে, এতে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নাও মিলতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথেরিন টাই বলেন, অস্বাভাবিক সময়ে অস্বাভাবিক সব পদক্ষেপই নিতে হবে। তিনি সতর্ক করেন, এই বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে ডব্লিউটিও সদস্যদের সময় লাগবে।
প্রায় ৬০ টি দেশের এই গ্রুপে ভারত এবং সাউথ আফ্রিকা ভ্যাকসিনের পেটেন্ট প্রত্যাহারের চেষ্টার অংশ হিসেবে গত ৬ মাস ধরে এই বিষয়ে কথা বলে যাচ্ছে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর তীব্র বিরোধিতা করেন। এছাড়া বিরোধিতা করে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
কিন্তু ট্রাম্পের উত্তরসূরী জো বাইডেন গেলেন ভিন্ন পথে। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট পদের প্রচারণার সময়ই তিনি এই বিষয়ে সমর্থনের কথা বলেছিলেন এবং গত বুধবার তিনি তার সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধান এই পদক্ষেপকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক ‘স্মরণীয় মুহূর্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
সমর্থকদের মতে, যদি অনুমোদন পায় তাহলে এই স্বত্ত্বত্যাগের ফলে ভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে এবং কম ধনী দেশগুলির জন্য আরও সাশ্রয়ী মূল্যে ডোজ সরবরাহ করা হবে।
অনেক উন্নয়নশীল দেশের যুক্তি ছিল, পেটেন্ট এবং অন্যান্য ধরণের বৌদ্ধিক সম্পদের সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশের দেওয়া বিধিমালা মহামারি মোকাবেলা করার জন্য ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য পণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর পথে একটি বাধা।
ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীর বৌদ্ধিক সম্পদ ব্যবহার করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ভ্যাকসিন উৎপাদনে ডব্লিউটিও-এর এই আলোচনা এর আগে অবরুদ্ধ করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র।