তিন সিটির নির্বাচনে গড়ে প্রায় ৪৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সবচেয়ে বেশি ভোটারের ঢাকা উত্তরে ৩৭ শতাংশ। আটচল্লিশ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে ঢাকা দক্ষিণে। দু’ সিটি মিলে ঢাকায় গড়ে ৪২ শতাংশ ভোটার ভোটকেন্দ্রে গেছেন। আর চট্টগ্রামে ভোট দিয়েছেন প্রায় ৪৮ শতাংশ ভোটার।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন,৪০ বা ৭০ শতাংশ ভোট বড় কথা নয়, আমাদের সিস্টেমে ১০ শতাংশ ভোট পড়লেও তা গ্রহণযোগ্য হতো। কিন্ত এতো কম তো হয়নি। তিনি মনে করেন, বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে না আসলে হয়তো আরও ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ভোট বেশি পড়তো।
তবে ভোটের শতকরা হিসাবের চেয়ে তিনি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনের সাফল্য-ব্যর্থতাকে। নির্বাচন কমিশন এখন অকার্যকর উল্লেখ করে সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই নির্বাচন কমিশন কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই। তারা সব দিক দিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। তারা কার্যত: অকার্যকর।
তার দাবি, এই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের কবর হয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের কেউ কেউ অবশ্য প্রত্যাশিত নির্বাচন না হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের চেয়ে বিএনপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন।
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর ঘটনাকে ‘প্রচারের কৌশল’ উল্লেখ করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান জানিপপ এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, দুপুরে বিএনপির প্রার্থীদের নির্বাচন বর্জন একটি রাজনৈতিক কৌশল। তারা প্রচার পাবার আশায় নির্বাচনের দিন এমন কাজ করেছে।
সিটি নির্বাচন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই নির্বাচন ছিল এক কথায় অপ্রত্যাশিত। আমরা শান্তিপূর্ণ, অবাধ এবং সবার অংশগ্রহণের নির্বাচন চেয়েছিলাম, তা পাইনি। সবচেয়ে বড় কথা হলো বিকেল ৩টা-৪টায় যখন ভোটার উপস্থিতি বেশি হওয়ার কথা তখন ভোটকেন্দ্রগুলো শূন্য ছিলো।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণে মোট ভোটার ছিলো ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ৯ লাখ ১৫ হাজার ৫৫০টি। তবে ৪০ হাজার ১৩০টি ভোট বাতিল হয়ে যায়।
ঢাকা উত্তরে ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৪ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৮ লাখ ৪১ হাজার ৩৫১ জন। বাতিল ভোট সংখ্যা ৩৩, ৫৮১।
চট্টগ্রামে ভোটার সংখ্যা ছিলো ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯। মোট ভোট পড়ে ৮ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৩টি। বাতিল ভোটের সংখ্যা ৪৭ হাজার ২৯২।