বেশি খরচে অপ্রয়োজনীয় কাজ না করে, কম খরচে প্রয়োজনীয় প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর গ্রামের এলাকার উন্নয়ন না করে সব জায়গায় সমান গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সহনীয় ভবন তৈরির দিকে দৃষ্টি দিতেও প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের(আইইবি) ৫৬তম সমাবর্তনে তিনি বলেন, ‘সাশ্রয়ী, অধিক সেবা দেয় এমন অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। প্রত্যেক উপজেলায় মাস্টার প্ল্যান করতে হবে। এরই মধ্যে আমরা অবশ্য কিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। এমন করে ভবন নির্মাণ করতে হবে যেন সামনে হাঁটাচলার জন্য খানিকটা জায়গা থাকে, শিশুদের খেলাধূলার জন্য জায়গা থাকে।’
‘ভূমিকম্প হলে দৌড়ে গিয়ে দাঁড়ানোর জায়গাও থাকছে না বর্তমানে। সেটা অন্তত রাখতে হবে। না হলে ঢাকায় মানুষকে উদ্ধারও করা যাবে না।’
তিনি রাস্তা-ঘাট, সেতু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানাসহ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণের মতো দেশের উন্নয়নে প্রকৌশলীদের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেন। বড় বড় ভবন নির্মাণে আরো বেশি সতর্ক হতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা চাই জনসেবায় সম্পৃক্ত ভবনগুলো সব এক জায়গায় হবে। যেন মানুষ টাকা খরচ করে এসে একসঙ্গে সব কাজ করে চলে যেতে পারে। বারে বারে একই কাজের জন্য যেন এখানে-ওখানে যেতে না হয়।
‘বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেখানে ইচ্ছে জমি কিনলাম আর ভবন তৈরি করে বসলাম। সেটা এখন আর হবে না। আমাদের সোলার প্যানেলকে আরো বেশি ব্যবহার করার কথা মাথায় রাখতে হবে।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক সমাজ গঠনের উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান, কারিগরি ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। সেই সঙ্গে আমাদের নদীশাসন ব্যবস্থার দিকেও নজর দিতে হবে।
এমডিজি অর্জনের মতো সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল এসডিজি অর্জনেও সকলকে যার যার জায়গা থেকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশের ৫৬ তম কনভেনশনে দু’জন কৃতি প্রকৌশলীকে সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়, যা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।