ভিয়েতনামে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনার উদ্বোধন করেছে হ্যানয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ চ্যান্সারি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দিনটির সূচনা করেন। দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশি এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনার উদ্বোধনের মুহূর্তে হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে সবাই একযোগে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী অনুষ্ঠানে পড়ে শোনানো হয়। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্য, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয় অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে সামিনা নাজ তার বক্তব্যে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন: আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বলে আমরা আশা করি।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনার মুহূর্তে একযোগে হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এই বিশেষ মুহূর্তকে উদযাপন করা হয়।