Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

ভিডিও রেফারি নিয়ে বিতর্ক

রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে কনফেডারেশন্স কাপে পরীক্ষামূলকভাবে ভিডিও রেফারির ব্যবস্থা চালু করেছে ফিফা। কিন্তু তাতেও শতভাগ সঠিক সিদ্ধান্ত পাওয়া যাচ্ছে না।

টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্বে মাঠের রেফারিরা ভিডিও ব্যবহার করে যতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার মধ্য থেকে ছয়টি সিদ্ধান্ত ম্যাচের ভাগ্য পাল্টে দিয়েছে। ২৯টি সিদ্ধান্ত ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।

ভিডিও রেফারির সাহায্য নেয়া হবে কি না, সেটা মাঠের রেফারির ওপর নির্ভর করে। এছাড়া অন্য রেফারিও প্রধান রেফারিকে ভিডিও ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারেন। সাইডলাইনের পাশে একটি মনিটর থাকে। সেখান থেকে রিপ্লে দেখতে পারেন রেফারি।

মাঠের রেফারি ভিডিও বিশ্লেষণকারীদের সঙ্গে কী কথা বলছেন, সেটা কেউ শুনতে পারে না। এবং সাইডলাইনের পাশে তিনি কী দেখছেন, তাও কেউ দেখতে পারে না।

সেমিফাইনালে চিলি-পর্তুগালের ম্যাচে বিতর্কিত কাণ্ড ঘটে। পর্তুগালের ডিফেন্ডার জস ফন্টে সিলভাকে বক্সের ভেতর ফাউল করলেও রেফারি এড়িয়ে যান। এমনকি ভিডিও রেফারির সাহায্যও চাননি।

গ্রুপপর্বে জার্মানি-ক্যামেরুন ম্যাচে আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। রেফারি প্রথমে ভুল করে ক্যামেরুনের সিয়ানিকে লালকার্ড দেখান, পরে তিনি বুঝতে পারেন দোষ ছিল মাবৌকার। এবং তাকেই মাঠ থেকে বের করে দেন।

ফুটবলে রেফারির নিজের বিবেচনার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বক্সের ভেতর কোনটা ফাউল কোনটা ফাউল না, সেটা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। অনেক সময় তিনি এড়িয়ে গেলেও ভুক্তভোগী দলগুলোর কিছু করার থাকে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এসব ক্ষেত্রে মাঠের রেফারি ভিডিও রেফারির সাহায্য নিবেন কি না, সেটা এখনো পরিষ্কার নয়।

ক্যামেরুনের কোচ হুগো ব্রুস ভিডিও রেফারি নিয়ে এতটুকু খুশি নন, ‘এটা বুঝি না। আসলেই আমি এখনো কিছু বুঝি না।’

এই পরিস্থিতিতে বিবিসি প্রশ্ন তুলছে, রাশিয়া বিশ্বকাপে ভিডিও রেফারি রাখা হবে কি না?

রেফারিদের প্রধান বুসাকা বলছেন, ‘ভিডিও রেফারি পদ্ধতির অনেক বিষয় উন্নত করা উচিত।’

‘প্রত্যেক দেশ থেকে বিশ্বকাপে যারা রেফারি পাঠাচ্ছে, তাদের উচিত বিষয়টি নিয়ে কাজ করা। এই প্রতিযোগিতার জন্য আমরা পাঁচদিন রেফারিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এই পদ্ধতি শতভাগ নির্ভুল নয়,’ বলেন বুসাকা।

Exit mobile version