এই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়ায় নামতে যাচ্ছে ভারত। জুলাই মাসে বঙ্গোপসাগরে এই মহড়ায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাপানও অংশ নেবে।
দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের ‘আগ্রাসনের’ প্রতিবাদ জানিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা যখন তুঙ্গে তার মধ্যেই এই বার্ষিক নৌ মহড়া ‘মালাবার এক্সারসাইজ’ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা ও কূটনীতি বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের তিন বৃহৎ শক্তি চীনের জলসীমা ঘেঁষে নৌবহর নিয়ে যাতায়াত করছে, হাতে হাত মিলিয়ে যুদ্ধের মহড়া দিয়ে শক্তি প্রদর্শন করছে। এই পরিস্থিতি বেইজিংয়ের পক্ষে মোটেই সুখকর নয়।
গত বছর এই ত্রিদেশীয় সামরিক মহড়া নিয়ে গর্জে উঠেছিল চীন। মহড়ায় অংশ নেয়ার জন্য তাদের সরকারি মুখপত্রে ভারতকে সতর্ক করা হয়েছিল।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়েছে, মহড়ায় অংশ নেবে বিমানবাহী রণতরী, পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র সম্বলিত ডুবোজাহাজ ও যুদ্ধবিমান। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এর আগে যত নৌ মহড়া হয়েছে, এ বারের মহড়া তার থেকে অনেক বড় আকারে হতে চলেছে।’
চীনের ‘পিপলস ডেইলি’র একটি রিপোর্টে ভারতের উদ্দেশে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লির উচিত সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে দেশের অর্থনীতির উন্নতিতে জোর দেয়া। কিছুটা হুমকির স্বরে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন। সমুদ্রপথের কৌশলগত পথগুলি সুরক্ষিত করতে চীন শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠনে সক্ষম।’
তবে চীনের এই রক্তচক্ষুতে অবশ্যই পিছপা হচ্ছে না ভারত। সাউথ ব্লকের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমে ভিয়েতনাম, দক্ষিণে সিঙ্গাপুর, পূর্বে জাপানের সঙ্গে সামরিক জোট গড়ে তাদের জলসীমাকে সব দিক থেকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা চলছে।