ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীকে যে ডাক্তার চিকিৎসা দিয়েছিলেন তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত ডাক্তারের বয়স ৬৩ বছর। ৭৬ বছর বয়সী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ওই রোগী গত ১১ মার্চ প্রাণ হারান।
হায়দ্রাবাদে প্রাইভেট মেডিকেল সুবিধার জন্য হাসপাতাল ছাড়ার আগে তিনি কর্ণাটকের কালাবুরাগিতে ওই রোগীকে চিকিৎসা দেন। ব্যাঙ্গালুরুর ভাইরোলজি ল্যাবে গত রোববার ওই ডাক্তারের নমুনা প্রেরণ করা হয়। জেলার ডেপুটি কমিশনার(ডিসি) শরথ বি এসব তথ্য জানান। এই ঘটনার পরে এই রোগের চিকিৎসা নিয়ে আরো অনেক অনেক প্রশ্ন উঠেছে।
আক্রান্ত ওই ডাক্তারকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। পরে তার ৪৫ বছর বয়সী মেয়ের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেলে হোম কোয়ারেন্টাইন চলমান থাকে।
স্বাস্থ্য কর্মীরা জানিয়েছেন, এখন তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। তবে তার সম্পর্কে আর বিস্তারিত কোনো তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হয়নি।
তাকে আগেই কেন আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়নি? এমন প্রশ্নে ডিসি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আগে তার শরীরে কোনো লক্ষণ ছিলো না।
তাহলে কেন তার রক্ত বা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলো সেই প্রশ্নও তোলা হচ্ছে। আবার ডিসি জানাননি আক্রান্ত ডাক্তার ওই রোগীকে কোথায় চিকিৎসা দিয়েছিলেন। জানা গেছে এক ডাক্তার তাকে বাড়িতে এবং আরো দুই ডাক্তার তাকে কালাবুরাগিতে ব্যক্তিগত হাসপাতালে সেবা দিয়েছিলেন।
কালাবুরাগিতে করোনা ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ জন। ৩৫০ জনকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আর ওই ডাক্তারসহ ৯ জনকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।