ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং ভোটার ভেরিফায়েড পেপার ট্রেইল মেশিন (ভিভিপ্যাট) ব্যবহারে স্বচ্ছতা এবং এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন কংগ্রেসসহ ২১টি রাজনৈতিক দলের নেতারা।
ভোটার যাচাইয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তারা।
এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের নির্বাচন কমিশনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতারা বৈঠক করবেন। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারাস্বামী, এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারসহ অন্যান্য দলের নেতারা বৈঠকে অংশ নেবেন।
রোববার ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম ও শেষ ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে বুথফেরত জরিপের ফলাফলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল, এবারের নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ক্ষমতাসীন বিজেপি জয়ী হতে যাচ্ছে। জয়টা বেশ সহজ হবে বলেও ধারণা প্রকাশ করা হয় এ জরিপে।
এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যায় বিরোধী দল এবং জোটগুলো। কংগ্রেসসহ বেশিরভাগ দলগুলোর প্রতিক্রিয়ায় বলা হলো, বুথফেরত জরিপের ফল সাধারণত ঠিক হয় না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মতো নেত্রীও তখন দাবি করেন, বুথফেরত জরিপের এহেন ফলাফল হাজারো ইভিএম জালিয়াতি বা পাল্টে দেয়ার ইঙ্গিত।
নাইডু সোমবার বলেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত এ ব্যাপারে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। তিনি প্রশ্ন রাখেন, কেন কমিশন এখনো অর্ধেকের বেশি ভিভিপ্যাট স্লিপের ভোট গণনা করছে না?
অন্যদিকে কুমারাস্বামী এক টুইটবার্তায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনের অধীনে ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সবগুলো বিরোধী দলই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইভিএমে ভোট জালিয়াতি করা সহজ, তাই বিরোধী দলগুলো গতানুগতিক ব্যালট পেপার দিয়ে ভোটগ্রহণের জন্য সুপ্রিম কোর্টেও ধরনা দিয়েছিল।
এদিকে বিজেপিকে ছাড়া কীভাবে সরকার গঠন সম্ভব, তা নিয়ে সোমবার আলোচনায় বসেন মমতা ব্যানার্জি ও চন্দ্রবাবু নাইডু। এর আগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং ইউপিএ জোটের চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
আগামী ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের কথা রয়েছে।