ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি মারা গেছেন। শনিবার দুপুর ১২টা ৭ মিনিটে ভারতের এইমস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এইমসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, গত ৯ আগস্ট থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে এইমসে চিকিৎসাধীন ছিলেন অরুণ জেটলি। শুক্রবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এর আগে মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছিল, সংকটপূর্ণ অবস্থার কারণে জেটলিকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
গত মে মাসেও এইমসে চিকিৎসাধীন ছিলেন জেটলি।
২০১৮ সালের ১৪ মে জেটলির কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। ওই সময় থেকেই অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন জেটলির অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন পীযূষ গোয়েল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রীয় বাজেটও পেশ করতে পারেননি জেটলি। অসুস্থতার কারণেই এবার লোকসভা নির্বাচনেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। মন্ত্রিত্ব থেকেও অব্যাহতি নেন।
অরুণ জেটলি মোদি সরকারে প্রথম মেয়াদে জিএসটি ও নোট বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার ক্ষেত্রে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
১৯৫২ সালের ডিসেম্বরে দিল্লিতে অরুণ জেটলির জন্ম। দিল্লির সেইন্ট জেভিয়ার্স থেকে স্কুলের পাঠ চুকিয়ে শ্রীরাম কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। এরপর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাশ করেন তিনি।
অরুণ জেটলি পেশাগত জীবনে একজন আইনজীবী ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী সরকারের আমলে জরুরি অবস্থার সময় তাকে জেলও খাটতে হয়েছে। তখন তিনি একজন ছাত্রনেতা ছিলেন।
জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর জেটলি ভারতীয় জনসংঘের একজন সদস্য হিসেবে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপর দলটিতে বড় পদে আসীন হন তিনি। জনসংঘই পরে বিজেপিতে রূপ নেয়।
অটল বিহারি বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায়ও ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে বিজেপি বিরোধী দলে থাকাকালে অরুণ জেটলি রাজ্য সভায় বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন।