ভারতের সঙ্গে মরণবাঁচনের ম্যাচে আগে ইংল্যান্ডের জন্য ভালো খবর, ওপেনার জেসন রয় ফিট হয়ে গেছেন। শুক্রবার নেটে দীর্ঘক্ষণ স্পিনারদের বিপক্ষে ব্যাটও করেছেন। রোববার এজবাস্টনে হবে কোহলিদের বিপক্ষে মরগানদের ম্যাচ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পান রয়। সেই চোট তাকে ছিটকে দেয় আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ থেকে। ওই তিন ম্যাচে শুধু আফগানদের বিপক্ষেই জিততে পেরেছে ইংলিশরা।
ওপেনার রয়ের ফিরে আসা প্রাপ্তি হলেও সংশয় থাকছে পেসার জফরা আর্চারকে নিয়ে। নেটে এদিন বলও করেননি আর্চার। বাটলার বলছেন, ‘মেডিকেল টিম তাকে দেখছে। এদিন বিশ্রাম নিয়েছে। আশা করছি, ম্যাচে তাকে আমরা পাব।’
এজবাস্টনে বরাবরই সামারে স্পিনাররা সাহায্য পায়। যেটা স্বীকার করেছেন জস বাটলার। ভারতের বোলিং আক্রমণ এই মুহূর্তে দুর্দান্ত। বোঝাই যাচ্ছে, কুলদীপ-চাহাল জুটির মোকাবেলায় ইংল্যান্ডের অস্ত্র হবেন মঈন আলি ও আদিল রশিদ।
কিন্তু ইংল্যান্ডের প্রস্তুতি ছাপিয়ে সামনে চলে আসছে মাইকেল ভন বনাম জনি বেয়ারস্টোর তর্ক। বেয়ারস্টো বলেছেন, দলের খারাপ ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন তার দেশের সাবেক ক্রিকেটাররা। জবাবে ভন বলেছেন, ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছে এবারের দলটি। কিন্তু তারা খুবই হতাশ করেছে। এই কথা বেয়ারস্টোকেও মনে করিয়ে দেন সাবেক অধিনায়ক।
ভন-বেয়ারস্টোর এই তর্ক-বিতর্ককে বাটলার রসিকতা করে বলছেন, ‘ব্যাটল অফ টু ইয়র্কিজ।’
ইয়র্কশায়ারের দুই ক্রিকেটারের যুদ্ধ যে মাত্রাই পাক না কেনো, রোববার এজবাস্টনে ইংল্যান্ড হেরে গেলে সেদেশের ক্রিকেটমহলে ‘গেল, গেল’ আওয়াজ অন্য মাত্রা পাবে। কারণ, ভারতের বিপক্ষে হার মানেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার রাস্তা দেখতে থাকবে তারা। পরের ম্যাচে যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেও টেবিলের হিসেব কঠিন হয়ে যাবে। তাছাড়া সামনেই অ্যাশেজ, তার আগে বিশ্বকাপে বিপর্যয়কে অশনিসংকেত বলেই ধরার জন্য তৈরি ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম।