ভারতীয় ক্রীড়া সাংবাদিকরা সাজসাজ রবে বিসিসিআই হেডকোয়ার্টারে দুপুর থেকে ভিড় জমাতে থাকেন। প্রায় সব গণমাধ্যমে লাইভ চলতে থাকে সমানতালে। কুম্বলের চেয়ারে কে বসছেন, তা জানতে ওই আয়োজন। সৌরভ গাঙ্গুলি আগে বলে রেখেছিলেন সোমবার সন্ধ্যায়ই একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হবে। সূর্য যখন ডুবিডুবি তখন বাঙালিবাবু সাংবাদিকদের হতাশ করে জানিয়ে দিলেন, তাদের আরও কিছুদিন সময় লাগবে!
এনডিটিভি বলছে, প্রার্থীদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত তালিকায় প্রথমে আছেন বীরেন্দ্রর শেবাগ এবং রবি শাস্ত্রী। অনেক আলোচনা-পর্যালোচনার পরই তাদের দুজনকে সম্ভাব্য কোচ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শেবাগ নিজে উপস্থিত হয়ে সাক্ষাতকারে অংশ নেন। শাস্ত্রীসহ অন্য প্রার্থীরা স্কাইপে সাক্ষাতকার দেন।
কোচের নাম ঘোষণার কথা বলে কেন ভারতীয় বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটি সময় চাচ্ছে, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। হিন্দুস্থান টাইমস বলছে, এই অপেক্ষা কোহলির জন্য। কোহলির সঙ্গে কথা না বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছেন না উপদেষ্টা কমিটির তিন সদস্য শচীন, সৌরভ এবং লক্ষণ।
‘ভারতের কোচ ঠিক করতে আমাদের ব্যস্ততা নেই। সামনে ২০১৯ বিশ্বকাপ। তাই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আরও কিছুদিন সময় লাগবে,’ প্রার্থীদের সাক্ষাতকার নেয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে বলেন সৌরভ।
কোহলির জন্য অপেক্ষা, এই যুক্তিও ‘রহস্যজনক’। কেননা সব ঠিক হয়ে গেলে ভারত অধিনায়কের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারতেন সৌরভরা। তা না করে সময় চাওয়ায় ভারতীয় গণমাধ্যম ‘অন্য গন্ধ’ খুঁজছে।
‘কোচের নাম ঘোষণা করার আগে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমাদের কথা বলা দরকার। বিশেষ করে কোহলির সঙ্গে,’ সৌরভ এই কথা বলার পর প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি নতুন কোনও ঝামেলা হল?
ঝামেলা দুই ধরনের। কোচ হিসেবে শাস্ত্রীকে পছন্দ শচীনের। ভারতীয় দলের বিরাট একটি অংশও শাস্ত্রীকে চায়। সৌরভ গাঙ্গুলি আবার শাস্ত্রীকে পাত্তা দিতে চান না! কোচ নিয়ে এই খেলা কবে শেষ হবে, নির্দিষ্ট করে সেই উত্তরও দিয়ে যাননি তিন কিংবদন্তি। শুধু বলে গেছেন, সময় লাগবে।