দেশের ভবিষ্যত ক্রিকেটারদের তুলে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবির হাইপারফরম্যান্স ইউনিট। সাকিব, তামিম, মুস্তাফিজদের পর সম্ভাবনাময় ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এ ইউনিটে। ব্যাটিং, বোলিং, উইকেট কিপিং সবদিকেই দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে ভবিষ্যত টাইগারদের।
২২ গজে টাইগারদের দূর্দান্ত পারফরম্যান্স বিশ্বের কাছে ক্রিকেটের নতুন পরাশক্তি হিসেবে পরিচিত করেছে বাংলাদেশকে। মুস্তাফিজদের মত দেশের প্রতিভাবান ক্রিকেট খেলোয়াড়দের সামনে তুলে আনতে ২০০৪ সালে হাইপারফরম্যান্স বা এইচপি ইউনিট গঠন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি।
এ ইউনিটের মাধ্যমেই উঠে এসেছে সাকিব, তামিম, মুশফিকের মতো খেলোয়াড়রা। দীর্ঘ আট বছর পর আবারও শুরু হয়েছে এইচপির কার্যক্রম। এইচপি ইউনিটে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পেস বোলার, স্পিন বোলার, ব্যাটসম্যান ও উইকেটকিপার বের করে আনা হবে। প্রাথমিক অবস্থায় চার মাস ধরে চলবে এ কার্যক্রম।
প্রধান কোচ ম্যালচি লয় বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে যে প্রতিভা আছে তা সত্যিই বিস্ময়কর। মুস্তাফিজের মতো প্রতিভারা সাড়া দেশেই ছড়িয়ে আছে। সঠিক প্রশিক্ষণ পেলেই এসব ক্রিকেটার হয়ে উঠবে একেকজন মুস্তাফিজ, একেকজন সাকিব। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যত টাইগারদের বের করে আনাই তাদের লক্ষ্য।
এই কার্যক্রমের পাশাপাশি বছরজুড়ে উদীয়মান ও জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের অধীনে এলিট প্রোগাম নামে প্রশিক্ষণ চলবে। যারা জাতীয় দলের বাইরে চলে যান তারাও যাতে হারিয়ে না যান সে লক্ষ্যে তাদের জন্যও থাকছে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ।
বিসিবির সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং এইচপি ইউনিটের চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম বলেন, এই স্কোয়াডে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ব্যাটসম্যান, বোলার, উইকেটকিপার এবং অলরাউন্ডার আর আন্ডার-সেভেন্টিন প্লেয়াররা রয়েছে যারা খুবই প্রতিভাধারী। এদেরকে আগে থেকেই এমন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে যাতে করে ভবিষ্যতের জন্য আরো ভালো করে গড়ে তোলা যায়।
তাছাড়া এই খেলোয়াড়দের শারীরিক ফিটনেসের পাশাপাশি মানসিক ফিটনেস গড়ে তোলার উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। ফলে একটা প্লেয়ার যখন জাতীয় দলে আসবে তাকে যেন নতুন করে সব কিছু না শেখাতে হয়।
আট কোটি টাকা খরচের হাইপারফরম্যান্স ইউনিটে বর্তমানে ২২ জন খেলোয়াড়কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।