Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন বৃহস্পতিবার

বৃহস্পতিবার যুক্তরা‌জ্যে নির্বাচন। শেষ মুহূর্তের প্রচারণারও ইতি ঘটে‌ছে। প্রধান দুটি বড় দল মরিয়া একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে।

ব্রিটেনের নির্বাচন নিয়ে এই প্রথমবারের মত বড় ধরণের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে দেশটির রাজনৈতিক মহলে। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর জনপ্রিয়তা কমে যাওয়া এবং পার্লামেন্টে প্রভাবশালী আঞ্চলিক দল স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (এসএনপি) শক্ত অবস্থানের কারণেই এই উত্তেজনা।

এছাড়া নির্বাচনপূর্ব জরিপের প্রত্যেকটিতেই দেখা গেছে, কোনো দলই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তাই জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনাই বেশি। আর এজন্যই স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মতো ছোট দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফলে রক্ষণশীল টোরি পার্টির নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং উদারপন্থি লেবার পার্টির নেতা মিলিব্যান্ড ছোট দলগুলোর সঙ্গেই শেষ মুহূর্তের হিসেব-নিকেশ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।

ডেভিড ক্যামেরন বলছেন, অনিশ্চয়তা এড়াতে নির্বাচনের পরের সপ্তাহে গোপন সমঝোতা, ঘুষ লেনদেন এবং বিশৃঙ্খলার পরিবর্তে দীর্ঘ পাঁচ বছরের জন্য দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখাটাই বেশি গুরুত্ত্বপূর্ণ। তাই জনগণকে তিনি ‘ব্রিটেনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’ গড়ার লক্ষ্যে তাকে কাজ করার সুযোগ করে দেবার অনুরোধ করছেন।

আর লেবার পার্টির নেতা মিলিব্যান্ড তার নির্বাচনী প্রচারণায় রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির পরিকল্পনার ওপর গুরুত্ত্ব দিয়ে ভোট চাইছেন। তার ঘোষণা, তিনি এমন সরকার গঠন করতে চান, যা লোকের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করবে।

এবার দেখার পালা ভোটযুদ্ধে জয়ের মালা কার গলায় উঠে।

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রার্থী

ব্রিটেনের এই সাধারণ নির্বাচনের দৌড়ে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রার্থীরাও পিছিয়ে নেই। এবারের সাধারণ নির্বাচনে ১২ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে লেবার পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ জন, লিবাররেল ডেমোক্র্যাটস থেকে ৩ জন এবং কানজারভেটিভ পার্টি থেকে ১ জন। এর মধ্যে হ্যামস্টেড এবং কিলবার্ন আসনে লেবার পার্টির হয়ে লড়ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক এবং ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে লড়ছেন রূপা হক।

Exit mobile version