শুধু ছোট ছোট শিশু নয়, বড়দের মাথায়ও ঘুরছে শিশুতোষ গান ‘বেবি শার্ক’। আর চলতি সপ্তাহে তা আরিয়ানা গ্র্যান্ডে এবং ড্রেক ও ক্যালভিন হ্যারিসের মতো জনপ্রিয় শিল্পীদের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে ইউকে টপ ফর্টি তালিকায়।
বেবি শার্ক গানটি আসলে নতুন নয়। ২০০৭ সাল থেকেই গানটি অনলাইন-অফলাইনে ঘুরছে। কিন্তু ২০১৬ সালে গানটি নতুন করে কাভার করে ইউটিউবে আপলোড করে পিংকফং নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল।
সেই ২০১৬ সালের সংস্করণটি এ বছরের আগস্টে হঠাৎ ভাইরাল হয়ে গেল। শনিবার পর্যন্ত ওই চ্যানেলে বেবি শার্ক গানটি দেখা হয়েছে ১৬০ কোটিরও বেশিবার।
পিংকফংয়ের ভিডিওটি এরকম:
সম্প্রতি এত বেশিবার গানটি দেখার ফলে তা উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের অফিশিয়াল টপচার্টে। বর্তমানে শীর্ষ ৪০ গানের গানের মধ্যে বেবি শার্ক রয়েছে ৩৭ নম্বরে।
বেবি শার্ক গানটি যুক্তরাজ্যের বাচ্চাদের কাছে এত বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে তাদেরকে দিনে অসংখ্যবার গানটি দেখা থেকে বিরত করতে বাবা-মা’দের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
হলি লাইস্ট নামের এক মা বিবিসি’কে জানান, পরিস্থিতি সামলাতে ৬ বছর বয়সী মেয়ে ইসলাকে তিনি নিয়ম বেঁধে নিয়েছেন, দিনে চারবারের বেশি গানটি প্লে করা যাবে না।
শিশুরা ছাড়াও বড়রা, এমনকি অনেক ব্রিটিশ তারকাও মজেছেন বেবি শার্ক ট্রেন্ডে। অনেকেই বেবি শার্ক গানের অনুকরণে নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পোস্ট করছেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, গানটির কথা ও সুর খুবই আকর্ষণীয় এবং মস্তিষ্কে গেঁথে থাকার মতো। তাছাড়া এর নাচগুলো খুব সোজা হলেও মজার।