নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন (জেএমবি) ‘‘সারোয়ার তামিম গ্রুপ’’ এর ‘ব্রিগেড আদ্-দার-ই-কুতনী’র সক্রিয় সদস্য ৪০ থেকে ৫০ জন বলে জানিয়েছে র্যাব। সংগঠনটির কমান্ডার ইমাম মেহেদী হাসান ওরফে আবু জিব্রিল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে এসব তথ্য দেন।
বৃহস্পতিবার কাওরান বাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে র্যাব-৩ পরিচালক কর্ণেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, বলেন, জেএমবি’র ‘ব্রিগেড আদ্-দার-ই কুতনি’ এর কমান্ডার ইমাম মেহেদী হাসান ওরফে আবু জিব্রিল সংগঠনের কর্মী সংগ্রহ করতেন। তার সংগঠনটিতে ৪০ থেকে ৫০ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। সংগৃহীত কর্মীদের আনুগত্য পরীক্ষার পর কিছু অংশকে শপথের মাধ্যমে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করে সে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা গ্রহণ করছিল।
“তিনি উদ্বুদ্ধ সদস্যদের মধ্যে সাংগঠনিক বিয়ের ব্যবস্থা দেখভাল করত।তার মাধ্যমে হিজরত করা জঙ্গিদের দুইজন ইতিমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছে।তার সাথে গুলশান হলি আর্টিজান ও কল্যাণপুর জঙ্গি আস্তানার জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল।”
র্যাব জানায়, ২০১৫ সালে র্যাবের অভিযানে পালাতে গিয়ে গ্রেফতার হয় জেএমবি’র ‘সারোয়ার-তামিম’ গ্রুপের তৎকালীন আমীর সারোয়ার জাহান ওরফে মানিক ওরফে আবু ইব্রাহিম আল হানিফ। জিজ্ঞাসাবাদে ও প্রাপ্ত আলামতের ভিত্তিতে র্যাব জেএমবি’র আলাদা ‘বদর স্কোয়াড ব্রিগেড’ ও ‘ব্রিগেড আদ্-দার-ই-কুতনী’ নামে ২টি ব্রিগেডের তথ্য মেলে। হলি আর্টিসানসহ অন্যান্য হামলায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে ‘বদর স্কোয়াড ব্রিগেড’।
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বেশ ক’জন সসদস্য গ্রেফতার ও নিহত হলে দুর্বল হয়ে পড়ে ‘বদর স্কোয়াড ব্রিগেড’। ‘বদর স্কোয়াড ব্রিগেড’ এর ব্যাকআপ বা রিজার্ভ হিসেবে সক্রিয় হতে শুরু করে ‘ব্রিগেড আদ্-দার-ই-কুতনী’।
তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, সম্প্রতি বেশ ক’জন উগ্রবাদি ও জঙ্গি সদস্য গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা তথ্য মেলে এই ‘ব্রিগেড আদ্-দার-ই-কুতনী’ এর নের্তৃত্ব দিয়ে আসছিলেন ইমাম মেহেদী হাসান ওরফে আবু জিব্রিল। ওই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করি। এ সময় তার কাছ থেকে ২টি ল্যাপটপ, ১ টি মোবাইল, ১ টি পাসর্পোট, জঙ্গি সংক্রান্ত বেশ কিছু উগ্রবাদি বই উদ্ধার করা হয়। ইমাম মেহেদী পটুয়াখালী জেলার বাউফল রাজাপুরের খোরশেদ আলমের ছেলে।
র্যাব-৩ এর সিও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আবু জিব্রিল জানায়, জেএমবি’তে যোগ দেয়া নতুন কর্মীদের বাইয়্যাত (শপথ) পাঠ করিয়েছেন তিনি। জেএমবি’র ‘ব্রিগেড আদ্-দার-ই কুতনি’তে আনসার (সাহায্যকারী). মুজাহির (যোদ্ধা), সালাফি আলেম বোর্ড এবং অর্থ প্রদানকারী বিভিন্ন ব্যক্তি রয়েছে।
ইমাম মেহেদীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।