জিকা ভাইরাসের জন্য ব্রাজিলে চলমান জাতীয় জরুরি অবস্থার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। তথ্য বলছে, গত বছরের তুলনায় এই বছরের জানুয়ারি এবং এপ্রিলে জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের পরিমাণ ৯৫ শতাংশ কমে এসেছে।
এই ভাইরাসের কারণেই আক্রান্তরা ছোট মাথা নিয়ে জন্মানোর মতো সমস্যায় ভুগতো। ত্রিশটি দেশে শিশুদের তীব্র রকম ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেওয়ার কারণও ছিলো এই ভাইরাসটি। ২০১৬ সালে ব্রাজিল যখন অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো তখনই এই সমস্যার মুখোমুখি হয় তারা। তারপরও সেখানেই অনুষ্ঠিত হয় সেবারের অলিম্পিক।
২০১৫ সালের নভেম্বরে দেশে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ব্রাজিল। সেই সঙ্গে সেই মশা নিধনের প্রচারণাও চলে যেগুলো জিকা ভাইরাস বহন করে। সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বছরে জানুয়ারি থেকে এপ্রিলে ৭,৯১১টি ঘটনা পাওয়া গেছে যেটা গত বছরের এই সময়ে ছিলো ১৭০,৫৩৫ টি। গত নভেম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপি জরুরি অবস্থা তুলে ফেলে।
এই বছরে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কারণে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, গত বছর আটজন মৃত্যুবরণ করেছিলো জিকা ভাইরাসের কারণে।