বান্দরবানে বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যার ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে দেখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। পারিবারিক কলহের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মনে করেন তিনি।
আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে যোগ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,’ এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, পারিবারিক কলহের কারণে এটা ঘটেছে’।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারিতে একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মং শই উ চাক নামে ওই ভিক্ষুকে শুক্রবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিহতের বয়স ৬০ বছর। নিহত ভিক্ষু চাকপাড়া বৌদ্ধ বিহারে একাই থাকতেন। ১৪ মে শনিবার সকালে জনাচাক নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি তাকে খাবার দিতে গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পান।
গত ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানে বাসায় ঢুকে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও মঞ্চনাট্যকর্মী মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যার পাঁচ দিনের মাথায় একই কায়দায় টাঙ্গাইলের গোপালপুরে দোকান থেকে বের করে এনে নিখিল চন্দ্র জোয়ার্দার নামের এক দর্জিকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
কলাবাগান হত্যাকাণ্ডের দুদিন আগে ২৩ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে তার শালবাগানের বাসার কাছে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আর এর এক দিন আগে ২২ এপ্রিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পরমানন্দ রায় নামের এক সাধু নিহত হন ছুরিকাঘাতে।এসব ঘটনার আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড়ে শ্রী শ্রী সন্তগৌরীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায়কে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
ওইসব হত্যার ঘটনায় বেশির ভাগের দায় স্বীকার করে আইএস এবং আনসার আল ইসলাম। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে দেশে আইএস জঙ্গিদের অস্তিত্ব থাকার বিষয়টি বারবার নাকচ করে দেওয়া হচ্ছে।