নাসার কেপ কানাভেরাল স্টেশনে বড় বিস্ফোরণ। পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সময় ৪০ নম্বর লঞ্চপ্যাডে একটি রকেট ফেটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। বিস্ফোরণের ধাক্কায় কয়েক মাইল দুরের ভবনগুলোও কেপে ওঠে।। বহুদূর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলোয় ইন্টারনেট সেবা দেয়ার পরিকল্পনা করছিল সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠান ফেসবুক। কিন্তু পরীক্ষার সময়ই বিস্ফোরণে সেই স্যাটেলাইটটি ধ্বংস হয়ে গেল। শনিবার ওই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের কথা ছিল। এই ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ফেসবুকের প্রধান মার্ক জাকারবার্গ।
এই দুর্ঘটনা ফেসবুকের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের উপরে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হলেও ফেসবুক সাইটে বিভিন্ন ছোটোখাট সমস্যা চিহ্নিত করেছে ব্যবহারকারীরা।
স্পেস-এক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই পরীক্ষার তত্ত্বাবধানে ছিল। এর ফলে প্রায় বিশ কোটি ডলার বা ষোলশ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়লো প্রতিষ্ঠানটি।
ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান ইউটেলস্যাটের সঙ্গে যৌথভাবে অ্যামোস-৬ স্যাটেলাইটটি তৈরি করা হচ্ছিল। ফেসবুক পরিকল্পনা করছিল, এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আফ্রিকার সাব-সাহারার দরিদ্র দেশগুলোয় দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দেয়া হবে।
তবে এই দুর্ঘটনা সত্ত্বেও নিজেদের লক্ষ্যে ফেসবুক অবিচল থাকবে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে।
ওই মহাকাশ গবেষণাগারটি দেখাশুনো করে মার্কিন বিমান বাহিনী। তাদের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের ফলে কোনও প্রাণহানির খবর নেই। আশপাশের বাসিন্দাদের কোনও আশঙ্কার কারণ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ঠিক কী কারণে এই বিস্ফোরণ সেটা এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তের পরে অনুমান, রকেটের জ্বালানির ট্যাঙ্কের তাপরোধী যন্ত্র নষ্ট হওয়ার কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে।