কেনিয়ার ২০ জন সংসদ সদস্য ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়ায় এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। ফাইনালসহ বিশ্বকাপের চারটি ম্যাচ দেখতে দুই সপ্তাহের রাশিয়া সফরে গেছেন ওই ২০ সংসদ সদস্য।
খেলা দেখার জন্য জনগণের করের হাজার হাজার মার্কিন ডলার খরচ হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাঠ থেকে সংসদ সদস্যরা সেলফি দিলেই বিষয়টি সবার নজরে আসে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী রাশিষদ একেসা বলেছেন, বিশ্বকাপের মতো এ ধরণের বড় আয়োজন কীভাবে করা হয় সে ধারণা নিতেই তিনি ছয় জন সংসদ সদস্যকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন।
কেনিয়া কখনোই বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেনি। ফিফার দেয়া বিশ্বকাপ র্যাংকিংয়েও ২০৬ দেশের মধ্যে তাদের অবস্থান ১১২।
তবে কেনিয়া বিশ্বের অন্যতম সফল অ্যাথলেটিক রাষ্ট্র। এছাড়া তারা ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের নিলামে অংশ নিয়েছে।
দেশের অনেক মানুষ মনে করেন, এমন একটি দেশ যেখানে গড়ে একজন মানুষকে দেড়শ’ ডলারে মাস পার করতে হয়, তাদের জন্য এ ধরণের ভ্রমণ অর্থের অপচয়। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর সমালোচনা করেছেন।
পার্লামেন্টারি সার্ভিস কমিশনের প্রধান সিনেট ক্লার্ক জেরেমিয়াহ নায়েগেনিয়ে বলেন, বিধি মেনেই এই ভ্রমণে গেছেন সংসদ সদস্যরা। খেলা এবং এ ধরণের আন্তর্জাতিক আয়োজন সম্পর্কে জানা তাদের দায়িত্ব। এটা কোনো অবকাশকালীন ভ্রমণ নয়, বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই নেয়া উচিত।
সিনেটর মিলসেন্ট ওমাংগা সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খেলার আগে ক্রোয়েশিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করেছেন। তিনি এই সফর অনেক মজা করছেন বলেও মনে হয়েছে।
সংসদের একটি সূত্র জানিয়েছে, সংসদ সদস্যরা প্রথম শ্রেনীতেই ভ্রমণ করেন। যখন তারা সরকারি সফরে যান, এজন্য একজন সংসদ সদস্য খরচের জন্য এক হাজার মার্কিন ডলার করে ভাতা পান।
বলা হয়ে থাকে, কেনিয়ার সংসদ সদস্যরা বেশি বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম। তবে গত বছর থেকে তাদের বেতন থেকে ১৫ শতাংশ করে কেটে রাখা হচ্ছে।