মোহাম্মদ আমিরকে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দেয়ায় অবাক হয়েছেন তিনি। দল ঘোষণার পরও দাবি তুলেছেন, আমিরকে ফিরিয়ে নেয়া হোক। দাবিদার ওয়াসিম আকরাম।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসারের সাফ কথা, ‘আমিরকে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপ খেলা যায় না। ইংলিশ কন্ডিশনে আমার প্রথম পছন্দ আমিরই। ওই দেশে অতীতে সে বরাবর ভালো পারফর্ম করেছে।’
বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়লেও আমিরের সামনে এখনো একটা সুযোগ থাকছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে যদি দারুণকিছু করতে পারেন আমির, তাহলে হয়তো দরজা খুলে যাবে বিশ্বকাপের জন্যও। নর্থাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে সোমবার রাতে হওয়া ট্যুর ম্যাচে একটি উইকেট পেয়েছেন আমির।
বছরদুয়েক আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল আমিরের। ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে দারুণ বোলিং করেছিলেন বাঁহাতি পেসার। আকরাম বলেছেন, ‘সে ছন্দ ফিরে পেলে দারুণ বোলিং করবে, এ নিয়ে অন্তত আমার কোনো সন্দেহ নেই। তার কারণ, একদিকে তার বয়স কম। অন্যদিকে আবার অভিজ্ঞ।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর থেকে বারবার ফর্ম হারিয়েছেন আমির। টেস্ট, ওয়ানডেতে তেমন পারফরম্যান্স করতে পারেননি। যা প্রভাব ফেলেছে নির্বাচকদের উপর। টিম ম্যানেজমেন্টও আমিরকে নিয়ে খুশি নন। যে কারণে বিশ্বকাপের দলে রাখা হয়নি।
এবারের বিশ্বকাপে তরুণ্যের উপরেই জোর দিয়েছে পাকিস্তান। শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ হাফিজ, সরফরাজ আহমেদ ও হারিস সোহেল ছাড়া সবই তরুণ ক্রিকেটার।
আকরাম বলছেন, ‘আমি তারুণ্যের পক্ষেই। কিন্তু অভিজ্ঞতার কোনো বিকল্প হয় না। যে কারণে দলে তারুণ্যের পাশাপাশি অভিজ্ঞতাও খুব জরুরি।’
বিশ্বকাপে যে আমিরের মতো কাউকে দলে লাগবে, তা জোর দিয়েই বলছেন আকরাম, ‘আমির দ্রুত নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। আমার মনে হয় বিশ্বকাপেও সে নিজেকে মেলে ধরতে পারত। আশা করি, দ্রুতই সে ফিরে আসবে। তাছাড়া এরকম টুর্নামেন্টে তাকে ভীষণ দরকার পড়বে পাকিস্তানেরও।’
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। ৩১মে নটিংহ্যামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ সরফরাজের দলের।