তামিমের অনুপস্থিতে অভিষিক্ত জাকিরকে সাহস দেয়ার দায়িত্ব ছিল তার। নবাগত ওপেনার যত সময় ক্রিজে ছিলেন, সৌম্য সেই দায়িত্ব ঠিকঠাকভাবে পালন করেছেন। নিজে বেশি বেশি স্ট্রাইক নিয়ে পাওয়ার প্লেতে ঝড়ো ব্যাটিং করে দলকে ৭১ রানের শুরু এনে দেন। এরপর ৩০ বলে টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন।
হাথুরুসিংহে যুগে সৌম্য সরকার ছিলেন বাংলাদেশ দলের বহুল আলোচিত ফ্যাক্টর। কখনো কখনো সেটি সীমা ছাড়ালেও তার অফফর্ম আলোচনাটা জিইয়ে রাখতে বেশ ভূমিকা রাখে।
হাথুরু দায়িত্ব ছাড়তেই দল থেকে বাদ পড়েন সৌম্য। গত বছরের টি-টুয়েন্টি ফর্ম বিবেচনায় দুই ম্যাচ সিরিজে দলে নেয়া হয় তাকে। মাঝের এই ‘ব্রেকে’ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এক ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করেন।
গেল বছরে ওয়ানডে এবং টেস্টে সৌম্য ভাল করতে না পারলেও টি-টুয়েন্টিতে সতীর্থদের চেয়ে এগিয়ে। ৭ ম্যাচে ৩৩.৫৭ গড়ে ২৩৫ রান করেন। স্ট্রাইকরেট ১৫৬.৬৬।
ওপেনার জাকিরসহ মোট চারজনের এদিন অভিষেক হয়েছে। বাকি তিনজন আফিফ হোসেন, আরিফুল হক এবং নাজমুল অপু। শ্রীলঙ্কা দলে অভিষেক হয়েছে শেহান মাদুশাঙ্কার।
জাতীয় দলের অভিষেকে ক্রিকেটাররা স্বভাবতই নার্ভাস থাকেন। ২০ বছরের জাকির হাসানের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুরু থেকেই বলের লাইন মিস করতে থাকেন। কিছুক্ষণ বাদে সিঙ্গেলে মন দেন। ‘সিনিয়র’ সঙ্গী সৌম্যকে বেশি বেশি স্ট্রাইক দিতে থাকেন।
কিন্তু জাকিরের যে ঝড় তোলা অভ্যাস। এই উইকেটে সৌম্যকে বড় বড় শট খেলতে দেখে নিজেও উৎসাহী হন। ৯ বলে ১০ রান করে ফিঙ্গার স্পিনার গুনাথিলাকাকে উড়িয়ে মারতে যেয়ে বোল্ড হন। এর ভেতর একটি চারের মার ছিল।