বিবর্তনবিদ্যার ইতিহাসে নগরায়নের খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব আছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন গবেষকরা। আর এটি মানুষের টিকে থাকার ও ভালো থাকার ইতিহাসের সঙ্গেও খুবই ওতোপ্রতোভাবে জড়িত।
প্রায় ১৬০০টি কেস স্টাডি বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বলছেন, এই পরিবর্তন পুরো বাস্তুবিদ্যাকেই প্রভাবিত করবে। তাই সেটা মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সারাবিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ নগরে বাস করে, অনুপাতটা ক্রমাগত বেড়েই চলছে।
গবেষণাটির সহলেখক ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ডিপার্টমেন্ট অব আরবান ডিজাইন অ্যান্ড প্ল্যানিং এর ম্যারিনা আলবার্টি বলেন, এই পরিবর্তনের কারণে গাছ ও প্রাণীর শরীরের আকারে পরিবর্তন আসে, আচরণগত পরিবর্তন দেখা দেয় এবং পুনরায় উৎপাদনে রদবদল আসে।
২০০৮ সালে ফ্রান্সের একদল গবেষকের গবেষণা থেকে জানা যায়, নাগরিক জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে গাছের বীজের আকারেও পরিবর্তন আসছে। সেখানে দেখা যায় নগরে গাছের বীজগুলো সাধারণত একটু বড় হয় কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় গাছগুলোর বীজ একটু ছোট হয়।
প্রফেসর অ্যালবার্টি বলেন, প্রায় ১৬০০টি ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, দেখা গেছে সেসবের বিবর্তন ও মানুষের আচরণের উপর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। নগরায়নের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর বুকে প্রাণের অস্তিত্ব আরো বেশিদিন টিকে থাকবে।
অ্যালবার্টি লক্ষ্য করেন, এই পরিবর্তনটি খুবই জরুরি কারণ এর ফলে বাস্তুসংস্থানের নিয়মে পরিবর্তন আসে। পাশাপাশি মানুষের ভালো থাকার উপরও এর প্রভাব রয়েছে।
এর আগে অনেক অনেক গবেষণা হয়েছে কিন্তু বিবর্তনবাদের উপর নগরায়নের প্রভাব নিয়ে এভাবে চিত্র বের করার মতো কোনো আলোচনা হয়নি।
প্রফেসর অ্যালবার্টি বলেন, আমরা একটি নগর পৃথিবীতে বাস করি। আর এই পরিবর্তনগুলো আমাদের ভাবতে শেখায় ভবিষ্যতে আমরা কোন দিকে যাচ্ছি। আমরা ক্রমাগত বিবর্তনবিদ্যায় পরিবর্তন আনছি আর সেটাতে নগরায়নের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।