করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাসায় অবস্থানের জন্য সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে এ সময়টায় প্রিপেইড বিদ্যুৎ বিলের মতো জরুরি সেবার বিকল্প কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় হোম কোয়ারেন্টাইন সম্ভব হচ্ছে না অনেকের জন্যই।
প্রিপেইড বিদ্যুৎ বিল দেয়ার জন্য রাজধানীর আজিমপুরে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর সামনে দেখা গেছে লম্বা লাইন। আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে এ লাইন অনেকদূর পর্যন্ত চলে গেছে। লাইনে দাঁড়ানো মানুষগুলো পরস্পর থেকে নূন্যতম দুরত্ব বজায় রাখেনি।
কেউ কেউ মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস ছাড়াই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। অর্থাৎ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আইইডিসিআর যেসব স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধির নির্দেশনা দিয়েছেন যেমন জনসমাগম এড়িয়ে চলা, একজনের থেকে আরেকজনের মাঝে দূরত্ব বজায় রাখা, কোলাকুলি কিংবা হ্যান্ডশেক না করা এসবের কোনোটাই লাইনে দাঁড়ানো মানুষগুলো মানছেন না। ফলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের যে উদ্যোগ তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
হোম কোয়ারেন্টাইন মানতে না পারায় লাইনে দাঁড়ানো মানুষগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, বিদ্যুৎ বিল পরে দেয়ার ব্যবস্থা করলে হোম কোয়ারেন্টাইনের যে উদ্যোগ তা সফল হতো। এজন্য ডিপিডিসির জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলছেন তারা। তাদের দাবি ছুটির এ কদিন প্রিপেইড বিদ্যুৎ বিল যেন পরে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয় কিংবা করোনাভাইরাস পরিস্থিতির পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার পরই ডিপিডিসি যেন গ্রাহকদের কাছ থেকে বিলটা গ্রহণ করে। তাহলে সরকারের হোম কোয়ারেন্টাইনসহ যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা মানা সম্ভব হবে।