বিশ্ব ব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন এর সোলার ‘সূর্যবাতি’ উত্তরাঞ্চলের অনেক গ্রামকে আলোকিত করেছে। বিশেষ করে যেখানে বিদ্যুৎ নেই সেখানে সূর্যবাতি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে।
‘আলো বদলান ভবিষ্যৎ বদলাবে’-এ শ্লোগানে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ১৮টি জেলায় বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) অর্থায়নে ‘লাইটিং বাংলাদেশ’ সোলার ‘সূর্যবাতি’ প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয় ২০১৪’র অক্টোবরে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ।
উত্তরের নীলফামারি, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামে চলছে সচেতনতা তৈরিতে সূর্যবাতি প্রকল্পের প্রচার। আইএফসি’এর একজন ব্র্যান্ড প্রমোটর বলেন, আমরা ওনাদের নাম ও ফোন নাম্বারটা নিয়ে আসি। আমাদের পক্ষ থেকে ওনাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে বাতিগুলো পৌছে দেয়ার চেষ্টা করি।
লিথিয়াম ব্যাটারিতে তৈরি হওয়ায় অন্য সোলার বাতির চেয়ে সূর্যবাতি নিরাপদ ও সাশ্রয়ী। অন্যান্য বাতির চেয়ে এর আলো উজ্জ্বল বলে জানান একজন শিক্ষার্থী। যেখানে বিদ্যুৎ এখনো পৌঁছেনি সেখানে পৌঁছে যাচ্ছে সূর্যবাতি।
সূর্যবাতি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন আইএফসি’র কর্মকর্তারা। আইএফসি’এর ক্লিন এনার্জি এডভাইজারি সার্ভিসেস অপারেশন অফিসার মোহাম্মদ তাইফ উল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা লাইট আমাদের গবেষণাগারে ভালোভাবে পরীক্ষা করা হয়। যাতে একটা বাচ্চা লেখাপড়া করার জন্য যতটুকু আলো প্রয়োজন হয় নুন্যতম সেই আলোটা নিশ্চিত করা হয়।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৯টি দেশে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিশ্ব ব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন।