Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

বিদেশি শেষে স্বদেশীর কাছে ঐক্যফ্রন্ট

নবগঠিত ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ এবার দেশের জনগণের কাছে যাচ্ছে। তার আগে তারা গেছে বিদেশিদের কাছে। সেখানে গিয়ে তারা জানিয়েছে কেন তারা জোটভুক্ত হলো, কী তাদের দাবি ও উদ্দেশ্য সেটা। এরপর তারা মানুষের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৪ অক্টোবর সিলেট সমাবেশের মাধ্যমে দেশের মানুষকে বলবে তাদের কথা। সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যে চাইবে জনসমর্থন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে গত ১৮ অক্টোবর গিয়েছিল ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সেই বৈঠকে বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এক নম্বর দাবি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি না ঘটলে কী ভূমিকা নেবে নবগঠিত এই ঐক্যফ্রন্ট। অন্য প্রশ্নে কূটনীতিকরা জানতে চেয়েছিলেন যদি তারা নির্বাচনে জয়ী হয় সেক্ষেত্রে কে হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। আরও প্রশ্নের মধ্যে ছিল জোটে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান কী? এমনই তথ্য গণমাধ্যমের।

নামে ভারিক্কি, কাজে অস্পষ্ট এই ঐক্য নিয়ে এখনও পরিষ্কার নয় কেউ, এমনকি বিদেশিরাও। ফলে এ ধরনের প্রশ্নের মুখে শুরুতেই পড়েছে নয়া এই জোট। যদিও তাদের দাবিগুলো স্পষ্টতা মূলত সরকার পরিবর্তনের। কিন্তু এই সরকার পরিবর্তন শেষে যদি দেখা যায় আওয়ামী লীগকে সরিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোই মূল লক্ষ্য হয়ে যায় তখন আদতে এই ঐক্যফ্রন্টের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রশ্নের মুখে পড়ে। এবং সেটাই ঘটছে। কারণ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে আগামীতে তারা নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের অধিকাংশকেই বিএনপির প্রতীক ব্যবহার করতে হবে, এবং নির্বাচনে জিতে গেলেও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে যে সংসদ সেখানে বিএনপির লোকজনেরই আধিক্য থাকবে। এক্ষেত্রে এটাকে ঐক্যফ্রন্টের এখনকার নেতা ড. কামালের জোট বলা হলেও নির্বাচনে জিতে গেলে সেটা স্বাভাবিকভাবেই হয়ে যাবে বিএনপির জোট।

বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কেবল এ দুই দলই শক্তিশালী থাকায় তৃতীয় ধারার কোন রাজনৈতিক শক্তি অনুপস্থিত। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার স্লোগান নিয়ে শুরু করা ড. কামাল হোসেন-মাহমুদুর রহমান মান্না- আ স ম আব্দুর রবের প্রাথমিক লক্ষ্য আওয়ামী লীগকে সরানো। এক্ষেত্রে তারা মুখে না বললেও আওয়ামী লীগকে সরিয়ে বিএনপিকেই ক্ষমতায় বসানোর প্রক্রিয়ায় এসেছেন। এটা ঠিক যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই জোটে বিএনপিই রাজনৈতিকভাবে শক্তিমান। জনসমর্থনের দিক থেকে অন্যদের অস্তিত্ব নাই বললেই চলে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ড. কামাল হোসেনকে প্রধান নেতা হিসেবে ধরলেও সেটা আদতে বিএনপির কৌশলী অবস্থান। ড. কামাল হোসেনের নামে চালিত এই জোট মূলত বিএনপির রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হাসিলের অবলম্বন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপি প্রবল নেতৃত্ব-সঙ্কটে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কারাগারে না থাকলেও তিনি আইনের দৃষ্টিতে পলাতক এবং একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত। নেতৃত্ব সঙ্কটের এই পর্যায়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা, স্থিতি বজায় এবং ভাঙন ঠেকাতে তৃতীয় কারও সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার দরকার ছিল, ড. কামাল হোসেনকে দিয়ে বিএনপি সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছে। এছাড়া পলাতক তারেক রহমানের নেতৃত্ব প্রশ্নের মুখে, এবং দুর্নীতিবাজ ও মানুষ হত্যার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে দেশে-বিদেশে তিনি ব্যাপক ভাবে সমালোচিত ও নিন্দিত। এমন অবস্থায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ড. কামাল হোসেনরা বিএনপির উদ্ধারকর্তা হিসেবেই হাজির হয়েছেন। আর এই সুযোগকে ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে বিএনপি।

ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, আ স ম আব্দুর রবরা বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত। এরপর আওয়ামী লীগে আশ্রয় না পেয়ে তারা এখন আওয়ামী লীগকে শত্রুজ্ঞান করেন। তাই আদর্শিক ডানপন্থার বিএনপি ও সাম্প্রদায়িক-দেশবিরোধি দল জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ জোট করতে তারা পিছপা হন নি। বিএনপি ও জামায়াতের মূল লক্ষ্য যেখানে আওয়ামী লীগকে হটিয়ে নিজেদের ক্ষমতাসীন করা সেখানে তারাও হাজির হয়েছেন। এবং হাজিরা দিতে গিয়ে সরকারবিরোধী জোট গঠনের মূল নেতা ডা. এ কি এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাকে বাদ দিয়েই নতুন জোট গড়েছেন, অথচ সরকারবিরোধী বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের ধারণাটা ছিল বি চৌধুরীর মস্তিস্কপ্রসূত।

বি চৌধুরীকে বাদ দেওয়ার মূল কারণ ছিল তিনি দেশবিরোধী কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঐক্য করতে রাজি হন নি। তার এই সিদ্ধান্ত ও দাবি বাস্তবায়িত হলে বিএনপিকে জামায়াতে ইসলামিকে ছাড়তে হতো। কিন্তু বিএনপি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশবিরোধী দল জামায়াতকে না ছেড়ে ড. কামাল-মান্না-রব-মইনুলদের দিয়ে বি চৌধুরীকেই বাদ দিতে পেরেছে। ড. কামাল হোসেন-মাহমুদুর রহমান মান্না- আ স ম আব্দুর রবদের এই ভূমিকা নিশ্চিতভাবে রাজনৈতিক অসততা এবং একই সঙ্গে অনৈতিক প্রক্রিয়াও। কামাল হোসেনের মত বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ সেটাই করলেন। স্রেফ আওয়ামী লীগ বিরোধিতার কারণে তার দীর্ঘদিনের আদর্শিক বিরোধিতাও করলেন, ডান ও দেশবিরোধী শক্তিকে সঙ্গ দিয়ে।

বি চৌধুরীর সঙ্গে এই আদর্শিক অসততার পর বিএনপিকে যুক্ত করে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ নামের জোট গঠিত হয়। শুরুতেই এই জোট সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের ৭ দাবি ও ১১ লক্ষ্যের কথা জানিয়েছে। এই দাবিগুলোর মধ্যে আছে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সকল রাজবন্দীর মুক্তি। আছে ‘অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ,জাতীয় সংসদ বাতিল,সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠন’।

এ দাবিগুলো বিএনপির দাবির অনুরূপ। বিএনপি রাজনৈতিক কারণে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইতেই পারে, কারণ তিনি তাদের দলের মূল নেতা। কিন্তু বিএনপির বাইরের কারও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি অপ্রাসঙ্গিক, কারণ জোটভুক্ত হওয়ার আগে ড. কামাল হোসেন কিংবা অন্যদের অধিকাংশই খালেদা জিয়ার মুক্তির কোন কর্মসূচিতে ছিলেন না। এমনকি ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী হিসেবে কাজ করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী হওয়ার প্রস্তাব নিয়ে মতিঝিলস্থ তার অফিসে গিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সে সময় রাজি হন নি ড. কামাল।

‘গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন,নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার নিশ্চয়তা প্রদান’- এটাও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবি। কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এখন কতখানি সম্ভব এনিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়া বর্তমান নির্বাচন কমিশন তাদের স্বল্প সময়ের দায়িত্ব পালনকালে বড়ধরনের কোন বিতর্কিত কিছু করেছে বলে প্রমাণ হয়নি। এছাড়া নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার হবেই এখন সিদ্ধান্তও হয়নি। নির্বাচন কমিশনের ইভিএম নিয়ে তোরজোড়ের এই সময়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলছেন ‘জোর করে ইভিএম চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না’। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ইভিএমের ব্যবহারের বিধান সন্নিবেশিত হয়েছে ঠিক, কিন্তু এটা ব্যবহারে সিদ্ধান্ত হয়নি; সিইসি কে এম নুরুল হুদাও বলছেন নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়নি।

বাক, ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সকল রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা এবং নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; কোটা সংস্কার আন্দোলন,নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সাংবাদিকদের আন্দোলন এবং সামাজিক গণমাধ্যমে স্বাধীন মত প্রকাশের অভিযোগে ছাত্র-ছাত্রী,সাংবাদিকসহ সবার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির নিশ্চয়তাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালো আইন বাতিল; নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং সম্পূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ভোট কেন্দ্র, পুলিং বুথ, ভোট গণনাস্থল ও কন্টোল রুমে তাদের প্রবেশের উপর কোনো প্রকার বিধি-নিষেধ আরোপ না করা। নির্বাচনকালীন সময়ে গণমাধ্যম কর্মীদের উপর যে কোন ধরণের নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করার দাবিগুলো যথাযথ বলেই মনে করি। এবং সরকার এগুলো মানতে পারে। কারণ এসবের মধ্যে জনগণের কথাও রয়েছে।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান সব রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখা ও কোনো ধরণের নতুন মামলা না দেয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করার যে দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তা মেনে নিলে ওই সময়ে দেশের আইন-আদালতকেই ‘স্থগিত’ রাখার ঘোষণাই হয়ে যায়। নির্বাচন মানে দেশে ‘জরুরি অবস্থা’ জারি নয়; সেক্ষেত্রে এগুলো মেনে নেওয়া কঠিন অথবা অবাস্তব। তাছাড়া তারা যে মামলাগুলোকে ‘রাজনৈতিক মামলা’ বলছে সেগুলো নির্ণয় করবে কে? বিতর্ক কিংবা আলোচনা করা যায় এমন কিছুতে কোনোভাবেই এককথায় সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব নয় বলে একবাক্য ব্যবহার করে ওগুলোকে ‘রাজনৈতিক মামলা’ বলে আখ্যা দেওয়া অসম্ভব।

‘নির্বাচনের ১০ দিন পূর্ব থেকে নির্বাচনের পর সরকার গঠন পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত ও নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত করতে হবে’- এমন দাবি করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। লক্ষণীয় যে, যে দলই সরকারবিরোধী অবস্থানে থাকে তারা সদাসর্বদাই নির্বাচনে সেনাবাহিনী চায়, আবার ক্ষমতায় গেলে সেটাই আবার অস্বীকার করে। তবে সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা কতখানি যৌক্তিক এনিয়ে আলোচনার দরকার। ক্ষমতা ও ক্ষমতা বদল প্রক্রিয়ার রীতিতে সেনাবাহিনীর বহুল ব্যবহার হলে সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলার মধ্যে প্রভাব পড়ে। এমনিতেই আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামীর কিছু ন্যক্কারজনক কাণ্ড আমাদেরকে লজ্জিত করে, হতাশও করে। জিয়া-এরশাদ-ফারুক-রশিদ-ডালিম গংরা বাংলাদেশের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। তাদের দ্বারা লজ্জা ও কলঙ্কের যে কালিমা চিহ্ন জুটেছে আমাদের কপালে সে চিহ্ন মুছে ফেলা অসম্ভব-প্রায়।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই আত্মপ্রকাশ, দাবি ও লক্ষ্যের প্রকাশ তা সংবাদ সম্মেলনে হয়েছে। এবং এরপর তারা মানুষের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে মানুষের কাছে যাওয়ার আগে নেতারা গেছেন বিদেশিদের কাছে, যেন বিদেশিরাই আমাদের দেশে কারা সরকারে আসবে আর যাবে তা নির্ধারণের মালিক। এটা তাদের তরফে জনগণকে অস্বীকার করা না হলেও অবমূল্যায়নই। কারণ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের কাছে গুরুত্বের দিক থেকে অগ্রাধিকার পেয়েছে বিদেশি কূটনীতিকরাই, বাংলাদেশের জনগণ নয়।

(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে্ ।)

Exit mobile version