যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের বিষয়ে নেয়া নতুন সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। করোনা মহামারির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের সব ধরনের কোর্স অনলাইনে চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও কাস্টমস বিভাগ (আইসিই)।
এ নীতি গ্রহণের এক সপ্তাহ পরে মঙ্গলবার বোস্টনে এক ফেডারেল বিচারক নীতিটি বাতিলের ঘোষণা করেন।
গত ৬ জুলাই দেশটির ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) জানায়, করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে আগামী সেমিস্টার থেকে আমেরিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যদি পুরোপুরি অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করে, তাহলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আমেরিকা ত্যাগ করতে হবে। এ ছাড়া সেখানে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদেরও ভিসা দেওয়া হবে না।
এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী পুরোপুরি অনলাইন পড়াশোনা করছেন, তাদের অবিলম্বে হয় একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে অন্তত কিছুসংখ্যক ক্লাসে সশরীরে উপস্থিত থেকে করতে হবে অথবা দেশে ফিরে যেতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে এক মার্কিন ব্যক্তি সিএনএনকে বলেন, হোয়াইট হাউস এই প্রস্তাবটির এক ধাক্কা অনুভব করেছে এবং ওয়েস্ট উইংয়ের মধ্যে কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে এটি খুব খারাপ ধারণা এবং কার্যকর করাও কঠিন হতো।
অন্য একটি সূত্র জানায়, হোয়াইট হাউস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের চেয়ে কেবল নতুন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রয়োগের দিকে মনোনিবেশ করছে। হোয়াইট হাউস চলমান নীতি প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও কাস্টমস বিভাগের নেয়া ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৮ জুলাই ফেডারেল কোর্টে মামলা করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। হার্ভার্ড এমআইটির এই পদক্ষেপের সমর্থন করে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আদালতে ওই মামলায় যোগ দেয়। এই সিদ্ধান্তের স্থগিতাদেশ চেয়ে ওই মামলায় যোগ দেয় টেক কোম্পানিগুলো।
একই সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার প্রশাসনের নির্দেশনাটি বাস্তবায়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয় ১৮টি অঙ্গরাজ্য ও ডিসট্রিক্ট অব কলম্বিয়া। আর এই চাপের মুখে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসল সরকার।