ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে স্কটল্যান্ডের। বুধবার বৃষ্টি আইনে ক্যারিবীয়দের কাছে ৫ রানে হারে স্কটিশরা। কিন্তু বৃষ্টি আর পারফরম্যান্সের চেয়ে স্কটল্যান্ডের হারের পর বেশি চর্চা হচ্ছে বিতর্কিত একটি এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্ত ঘিরে। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে ‘বিশ্বকাপ বঞ্চিত’ স্কটিশরা। তুমুল হইচই চলছে ক্রিকেট বিশ্বেও।
দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিতে স্কটল্যান্ডের সামনে টার্গেট ছিল ১৯৯ রানের। লক্ষ্যের দিকে ছুটতে থাকা স্কটিশদের শুরুটা ভাল না হলেও মাঝপথে গিয়ে আশা জাগিয়েছিল তারা। কিন্তু প্রকৃতি বাধা হওয়ার আগে তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আম্পায়ারের একটি ভুল সিদ্ধান্ত। পরে বৃষ্টি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশের আলোর সঙ্গে নিভে যায় স্কটিশদের বিশ্বকাপের আলোও।
ম্যাচের ৩৫.২ ওভারে বৃষ্টি নামার সময় স্কটল্যান্ডের রান যখন ৫ উইকেটে ১২৫, তখন ডিআরএস নিয়মে ৫ রানে এগিয়ে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রবল বৃষ্টিতে খেলা আর শুরুই হতে পারেননি। পরে সেই পাঁচ রানই বাঁচিয়ে দিয়েছে ক্যারিবীয়দের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। আর ভেঙে যায় স্কটিশদের হৃদয়।
বৃষ্টির শুরুর কয়েক মিনিট আগেই আউট হন রিচি বেরিংটন। তার আগে ক্যালাম ম্যাক্লাউডের সঙ্গে ৪২ ও জর্জ মানজির সঙ্গে ৩৮ রানের দুটি জুটিতে দলকে পথে রেখেছিলেন তিনি। ৬৮ বলে ৩৩ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলার সময়ই আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বলি হন।
অফস্পিনার অ্যাশলি নার্সের বল অফস্টাম্পে পড়ে অনেকটা ঢুকে বেরিংটনের পায়ে আঘাত হানে। অফস্টাম্পের বাইরে বল পড়ার পর ইম্প্যাক্ট ছিল লেগস্টাম্পের বাইরে। স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল বল লেগস্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়েই বল বেরিয়ে যেত। কিন্তু আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। ডিআরএস না থাকায় রিভিউ নেয়ার সুযোগ ছিল না। ফলে একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বেরিংটনকে। তার সঙ্গে পথ হারায় স্কটল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্বপ্নও।
ডিআরএসের নিয়ম বলছে, বৃষ্টি শুরুর সময় স্কটল্যান্ডের যে ১২৫ রান ছিল, বেরিংটন আউট না হলে ওই রানেই ম্যাচ জিতত তারা।
ম্যাচ শেষে হতাশা প্রকাশ করেছেন স্কটিশ অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার, ‘আমরা এটাকে নিরপেক্ষ হিসাবে দেখি না। ওটা যে এলবিডব্লিউ ছিল না পরিস্কারভাবেই বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে আমাদের বিপক্ষে এটাই প্রথম এই ধরনের সিদ্ধান্ত না।’
বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং টুর্নামেন্টে সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার মত কোনো পদ্ধতি না থাকায় সমালোচনা আরো বেশি হচ্ছে। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এ বিষয়ে বলেছিল, ‘সব ম্যাচই ডিআরএস সিস্টেম ব্যবহারের মত না বলেই সুবিধাটি রাখা হচ্ছে না।’
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, গত বছর অনুষ্ঠিতব্য নারী বিশ্বকাপের সব ম্যাচেই যদি ডিআরএস ব্যবহৃত হতে পারে, তাহলে বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং ম্যাচের মত গুরুত্বপূর্ণ লড়াইতে কেন সেটা ব্যবহার করা হল না।