Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

বিজয়ের সেঞ্চুরির পর মাশরাফীর ৫ উইকেট

এনামুল হক বিজয় দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে চ্যালেঞ্চিং সংগ্রহ এনে দিয়েছিলেন। মাশরাফীর আগুন ঝরানো বোলিংয়ে সেটি জয়ে রূপান্তর হল। বৃহস্পতিবার শেখ জামালকে ৪৭ রানে হারিয়েছে আবাহনী।

বিকেএসপিতে বিজয়ের ১১৬ রানে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ২৭০ রানের পুঁজি পায় আবাহনী লিমিটেড। জবাব দিতে নেমে মাশরাফীর ৫ উইকেটে ৪৫.৩ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার সময় ২২৩ রানের বেশি এগোতে পারেনি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই মাশরাফীর তোপে পড়ে শেখ জামাল। জিয়াউরকে (১) বোল্ড করার পর সৈকত আলির (৩১) স্টাম্পও উপড়ে দেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক।

পরে ইলিয়াস সানিকে (১৬) বোল্ড করেন সাকলায়েন। সোহাগ গাজী (০) ও তানবীরকে (৫) মেহেদী মিরাজ ফিরিয়ে দেয়ার মাঝে রান আউট হন যতিন সাক্সেনা (৪৩)। সাকলায়েন এসে সর্বোচ্চ স্কোরার সোহানকে (৮৩ রান, ১০ চার ও ৪ ছক্কায় ৬১ বলে) সাজঘরে পাঠান।

তখন আবারও আক্রমণে ফেরেন মাশরাফী। বোল্ড করেন আল-আমিন (২৪) ও নাজমুলকে (৩)। শেষে আবু জায়েদকে সাকলায়েনের ক্যাচ বানিয়ে প্রতিপক্ষ ইনিংসের ইতি টানেন। ৮.৫ ওভারে এক মেডেনসহ ২৯ রানে ৫ উইকেট মাশরাফীর, যার চারটিই স্টাম্প উপড়ে আদায় করা। লিস্ট-এ ক্রিকেটে তৃতীয়বারের মত পাঁচ উইকেট শিকার ম্যাশের, সেরা ২৬ রানে ৬টি।

মূর্তিকারিগর

মাশরাফীর তোপের আগে বিজয়ের ব্যাটে বড় সংগ্রহ পায় আবাহনী। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার মাঝে বুকি চিতিয়ে লড়ে লিস্ট-এর সপ্তম সেঞ্চুরিটি তুলে নেন কদিন আগেই জাতীয় দলে ফিরে প্রত্যাশা মেটাতে না পারা এ বাঁহাতি। থেমেছেন ১১৬ রানে, ১২২ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংস সাজিয়ে।

মিডলঅর্ডারে মোসাদ্দেক (৪৯) ছাড়া এদিন আবাহনীর পৌনে তিনশর সংগ্রহের পথে মিরাজ ও সানজামুলের ছোট দুটি ক্যামিও কাজে দিয়েছে। মিরাজ ২টি করে চার-ছয়ে ১৮ বলে ৩৪ এবং সানজামুল ৩ চারে ১৫ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

Exit mobile version