মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীতে দুটি জোড়া খুনের ঘটনায় নগরবাসীর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তাদের দাবি, এ দুটি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে কোনো যোগসূত্র নেই। দুটি হত্যাকাণ্ডেই পারিবারিক কলহ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ।
আগের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাকরাইল এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল করিমের নিজের বাড়ি থেকে তার স্ত্রী শামসুন্নাহার এবং তাদের ছেলে সাজ্জাদুল করিম শাওনের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার ময়নারবাগ কবরস্থান রোডের একটি বাড়ির ছাদ থেকে জামিল হোসেন এবং তার ৯ বছর বয়সী মেয়ে নুসরাতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জামিলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। নুসরাতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারনা।
এ দুটি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জানতে চাইলে উত্তর বাড্ডার হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অাসা ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় সাংবাদিকদের বলেন, সংক্ষিপ্ত সময়ের ব্যবধানে দুটি জোড়া হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ায় মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত।
“এ দুটি আলাদা ঘটনা, আমরা প্রাথমিক তদন্ত করে দেখছি। তাতে পারিবারিক ক্ষোভ কিংবা কলহ কিংবা পারিবারিকভাবে কাউকে বঞ্চিত করা, কিংবা লাভবান হওয়া কিংবা সম্পর্কের টানপোড়নের কারণে হত্যাকাণ্ড দুটি সংগঠিত হয়েছে।”
দুটি ঘটনারই তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করেই অনুসন্ধানে নেমেছি। আশা করছি দ্রুতই এ হত্যাকাণ্ডের পরিসমাপ্তি হবে।’