‘ফেসবুকে সারাদিন কী করিস?’ কদিন পরে এই প্রশ্নের বদলে বাবা মা তার সন্তানকে বলবে, ‘বাবা একটুখানি ফেসবুকে বসো।’ কেননা তখন ফেসবুকেই হবে পড়াশোনা।
সারা বিশ্বে ব্যাপক ব্যবহৃত যোগাযোগের এই মাধ্যম দিয়ে বিপ্লব ঘটিয়েছেন জাকারবার্গ। তবে এবার সেটাকেই শিক্ষার উন্নয়নে ব্যবহার করতে চান তিনি।
বৃহস্পতিবার এমনই একটি ঘোষণা দিয়েছে সিলিকন ভ্যালির এই কোম্পানীটি। ফেসবুক এখন এমন একটি সফটওয়্যার তৈরি কথা ভাবছে, যেটা কিনা স্কুলের শিক্ষার্থীরাও ব্যবহার করতে পারবে সহজে।
এই প্রজেক্টটির ভাবনা মূলত এসেছে ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এবং তার একজন কর্মী চেরিস কক্সের মাথায়।
নিজের ব্লগে কক্স লেখেন, কেমন হবে, যদি আমাদের দক্ষতা আমরা পড়াশোনার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারি। সেটা করার জন্য একটা ভালো পথও খুঁজছিলাম। এবার সেটাই হবে। এখন তেমনই একটা সফটওয়্যার তৈরি করতে চাই আমরা।
এরই মধ্যে এই প্রজেক্টের কাজে যোগ দেওয়া তেভেনার বলেন, আমরা শিশুদের কাছেই শিখতে চাই এবং তাদের হাতেই এই সফটওয়্যারের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দিতে চাই।
এই সফটওয়্যারটি দিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মিলে কোনো সুন্দর লেসন বা প্রজেক্ট তৈরি করতে পারবেন। এমনকি এই সফটওয়্যার দিয়ে শিক্ষকরা ছোট ছোট প্রশ্নমালা তৈরি করে শিক্ষার্থীদের গ্রেডও যাচাই করতে পারবেন।
এখন এই সফটওয়্যারটি পরীক্ষণ চলছে। পরীক্ষামূলকভাবে নয়টি সামিট স্কুলে ব্যবহৃত হচ্ছে এটি।
২০১০ সাল থেকেই শিক্ষা নিয়ে কাজ করার আগ্রহ জাকারবার্গের। তাই এটাকে ব্যবসা হিসেবে নয় বরং ভালো উদ্যোগ হিসেবেই বিবেচনা করছেন মিস্টার জাকারবার্গ।