নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হাজীপুরে বাবার কোলে শিশু তাসপিয়া আক্তার জান্নাতকে (৪) গুলি করে হত্যার ঘটনায় অস্ত্রের যোগানদাতাকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলাম।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে বেগমগঞ্জের হাজীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, শিশু তাসপিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মামুন উদ্দিন ওরফে রিমন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ওই জবানবন্দিতে প্রকাশিত আসামি সাকায়েত উল্যাহ জুয়েল।
রিমন জানায়, শিশু তাসপিয়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের যোগানদাতা জুয়েল। পরে গ্রেপ্তারকৃত জুয়েলের তথ্য অনুযায়ী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের সোলাইমানের পরিত্যক্ত বসতঘরে শনিবার দিবাগত রাত ২টা ১৫ মিনিটের দিকে অভিযান চালিয়ে দেশীয় তৈরী দুটি কিরিচ ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়।
রাত পৌনে ৩টার দিকে জুয়েলের তথ্য মতে একই মামলার পলাতক আসামি বাদশার বসত ঘর থেকে একটি পাইপগান ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল ও পলাতক আসামি বাদশার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।
শহীদুল ইসলাম বলেন, এ মামলার প্রধান আসামি রিমন বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের মোমিন উল্যাহর ছেলে। শিশু তাসপিয়া হত্যা মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ ও সুবর্ণচরের চরজব্বর থানায় মারামারি, হত্যাচেষ্টা ও অস্ত্র আইনে আরও নয়টি মামলা রয়েছে।
গত ৯ এপ্রিল বিকেলে শিশু তাসপিয়া আক্তারের মাথা ও মুখমণ্ডল গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় এবং তার বাবা আবু জাহেরেরও চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে কুমিল্লায় মারা যায় তাসপিয়া।
ওই ঘটনায় তাসপিয়ার খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বুধবার বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।