প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার সারা বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব বাবা দিবস। সব বাধাবিপত্তি আর ঝড় থেকে সন্তানকে আগলে রাখেন বাবা। বাবা মানে নির্ভরতার যায়গা। বাবা মানেই আশ্রয়।যদিও বাবাকে ভালোবাসার জন্য বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না। তারপরেও প্রতিটা সন্তানই বিশেষ এই দিনে বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে। বাবাকে নিয়ে হলিউডে তৈরি হয়েছে অনেক সিনেমা। এক নজরে জেনে নিন তেমনই কিছু সম্পর্কে।
ফাদার অব দ্য ব্রাইড (১৯৯১): আর্থিক টানাপোড়েনে থাকা এক বাবার আদরে, ভালোবাসায় মেয়েকে বড় করে তোলার গল্প। মেয়ের বিয়ে দেয়ার সময় তাকে হারিয়ে ফেলার ভয় চেপে বসে বাবার মনে। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গল্পে কমেডি ঘরানার এই ছবিটিতে অভিনয় করেছেন স্টিভ মার্টিন ও ডিয়ানে কিয়াটন।
ক্রামের ভার্সেস ক্রামের (১৯৭৯): একজন সিঙ্গেল ফাদারের সঙ্গে তার ছেলের সম্পর্ক নিয়ে এই ছবির কাহিনী। অভিনয় করেছেন ডাস্টিন হফম্যান, মেরিল স্ট্রিপ, জেন অ্যালেকজান্ডার, জাস্টিং হেনরি।
ফাইন্ডিং নিমো (২০০৩): এই ছবির নাম সবার জানা। এক ক্লাউন মাছ আর তার ছেলেকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ফাইন্ডিং নিমোর কাহিনী। বাবা ক্লাউন মাছের নাম মারলিন। আর ছেলে মাছের নাম হলো নিমো। বাবা-ছেলের নিখাদ ভালোবাসা এবং বন্ধুত্ব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ছবিতে।
দ্য স্যান্ডলট (১৯৯৩): ১৯৬২-এর গ্রীষ্মের গল্প। শহরে শিশুদের একটি বেসবল টিম গড়ে ওঠে। সেই টিমে এক নতুন শিশুকে নেয়া হয়। এরপর নানা রোমাঞ্চকর ঘটনা ঘটে।
মিসেস ডাউটফায়ার (১৯৯৩): বিচ্ছেদের পরে নিজের সন্তানদের অভিভাবকত্ব হারানো এক বাবার গল্প। সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য নারী হাউজকিপার সেজে প্রাক্তন স্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটান তিনি। বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন রবিন উইলিয়ামস।
আরভি (২০০৬): এক পরিবার একটি আরভি ভাড়া করে রোড ট্রিপের জন্য। পুরো পরিবার কলোরাডোর পাহাড়ি এলাকায় ঘুরে বেড়ায় সেই গাড়িতে। ঘটে নানা ঘটনা। ছবিতে অভিনয় করেছেন রবিন উইলিয়ামস, জোজো, চেরিল হাইনস, উইল আরনেট, জোস হাচারসন, জেফ ড্যানিয়েলস ও ক্রিস্টেন চেনোওয়েথ।
গার্ডিয়ানস অব দ্য গ্যালাক্সি ভলিউম টু (২০১৭): ‘গার্ডিয়ানস অব দ্য গ্যালাক্সি ভলিউম টু’-এর কাহিনীর কেন্দ্রে রয়েছে বাবার সঙ্গে পিটারের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পুনর্মিলন। পিটারের বাবা প্রাচীন দেবতা ইগো। তিনি একটি গ্রহের প্রাণশক্তি। পিটার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্রিস প্র্যাট। অন্যান্য চরিত্রে আছেন জো সালডানা, কার্ট রাসেল, মাইকেল রুকার, ডেভ বাউতিস্তা, ভিন ডিজেল, ব্র্যাডলি কুপার।
দ্য পারস্যুট অব হ্যাপিনেস (২০০৬): পরাজয়, চ্যালেঞ্জ আর অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে যাওয়া এক সেলসম্যানের গল্প ‘দ্য পারস্যুট অব হ্যাপিনেস’। স্ত্রী ছেড়ে চলে যায় তাকে, বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় হারান মাথা গোঁজার ঠিকানাটিও। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে তার মাথায় একটিই চিন্তা আর সেটা হলো নিজের সন্তানের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা। ছবিতে অভিনয় করেছেন উইল স্মিথ, থান্ডি নিউটন, জাডেন স্মিথ।
বাইসাইকেল থিভস (১৯৪৮): দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ইতালিতে অর্থাভাবে থাকা এক বেকার বাবাকে তার পরিবারের সব চাহিদা পূরণ করতে দেখা যায়। অনেক কষ্টে একটা পোস্টার লাগিয়ে বেড়ানোর চাকরি জুটে তার কপালে। তবে সেই চাকরিতে সাইকেল থাকা আবশ্যক। স্ত্রী একটি চাদর বিক্রি করে সাইকেল কিনে দেয়। কিন্তু একদিন চুরি হয়ে সাইকেলটি। ছেলের সঙ্গে চুরি হয়ে যাওয়া বাইসাইকেল উদ্ধারের চেষ্টা করতে থাকে বাবা।