বাদল রায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে কলকাতা মোহামেডান। বাংলাদেশ ও এশিয়ান ফুটবলে তার অসামান্য অবদানের জন্য শ্রদ্ধা জানিয়েছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। লিভার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে রোববার মারা গেছেন আশি-নব্বইয়ের দশকে মোহামেডান ও বাংলাদেশ দলের মাঠ কাঁপানো এ তারকা ফুটবলার।
ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে পাঠানো কলকাতা মোহামেডানের সেক্রেটারি এসকে ওয়াসিম আকরামের সাক্ষরিত এক চিঠিতে উঠে এসেছে এই শোক ও শ্রদ্ধা বার্তা।
লেখা হয়েছে, বিখ্যাত ফুটবলার ও ঢাকা মোহামেডানের সাবেক অধিনায়ক বাদল রায়ের মৃত্যুতে আমরা কলকাতা মোহামেডানের পক্ষ থেকে গভীর শোক জানাচ্ছি। বাংলাদেশ ও এশিয়ান ফুটবলে তার সামগ্রিক অবদানের কথা স্মরণ করছি। এই কঠিন সময়ে শোকার্ত পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি।
লিভার ক্যান্সার ও নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন বাদল রায়। চলে গেলেন ৬০ বছর বয়সে। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)।
গত ৫ নভেম্বর শ্বাসকষ্টের কারণে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বাদল রায়কে। পরে ১১ নভেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মারা যান।
লিভার, কিডনিসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন বাদল রায়। কিছুদিন আগে হার্ট অ্যাটাকও হয়েছিল।
৭০-৮০ দশকের মাঠ কাঁপানো ফুটবলার ছিলেন তিনি। ৮১ থেকে ৮৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে এবং ৭৭ থেকে ৮৯ পর্যন্ত মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। বাংলাদেশ ফুটবলে অনন্য অবদানের জন্য ২০০৯ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার অর্জন করেন।
খেলাকে বিদায় জানালেও ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিন মেয়াদে। সবশেষ বাফুফে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়ে শারীরিক অসুস্থতার জন্য নাম প্রত্যাহার করে নেন।