বিশ্বকাপের পর থেকে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ঘিরে বিভিন্ন ধরণের জল্পনা চলছে। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার কখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজের ব্যাট-প্যাড জোড়া তুলে রাখবেন সে সম্পর্কেই আলোচনা। মেগা ইভেন্টের পর ৩৮ বছরের ধোনি ক্রিকেট থেকে বিরতি নিয়ে কাশ্মীরে ১৫ দিন ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে ট্রেনিং করেন।
ঝাড়খন্ডে জন্মগ্রহণকারী এই ক্রিকেটার গত মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি-টুয়েন্টি সিরিজ মিস করেছেন এবং সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে চলতি তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজেও নেই।
ধোনি ক্রিকেট মাঠে কখন ফিরবেন সে বিষয়ে পাকা কোনো খবর নেই। এর মধ্যেই ভারতের এক মিডিয়ার খবর, ধোনি ক্রিকেট থেকে বিরতি সময় আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর অর্থ হল, তিনি আরও সিরিজ মিস করতে চলেছেন।
মুম্বাই মিররের প্রতিবেদন অনুসারে, বিরতির সময় নভেম্বর পর্যন্ত বাড়াতে পারেন ধোনি। যার অর্থ তিনি ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজের অংশ হবেন না। তিন নভেম্বর দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে (সাবেক ফিরোজ শাহ কোটলা) উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়ে সিরিজ শুরু হবে। পরের দুই ম্যাচ হবে রাজকোট এবং নাগপুরে।
মিররের খবর সত্য হলে, বিজয় হাজারে ট্রফিতেও খেলবেন না ধোনি, দু’দিন পরই যেটা শুরু হতে চলেছে। তবে পত্রিকাটি বলছে, আগামী ৬ ডিসেম্বর ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজে মাঠে দেখা যেতে পার ধোনিকে। যদি তা না হয় তবে জিম্বাবুয়ে এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে মাঠে দেখা যেতে পারে ধোনিকে, যেটা ৫ থেকে ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্বকাপের পর ধোনিকে একরকম জানিয়ে দেয়া হয় যে, তিনি আর ভারতের প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক হবেন না। বরং রিশভ পান্টকে ধোনির জায়গায় প্রথম অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
ভারত পরের বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে এবং এখনো জানা যায়নি যে, ওই টুর্নামেন্টের জন্য ধোনি পরিকল্পনায় আছেন কি না। সবশেষ একটি খবর বের হয়, অবসর ঘোষণার জন্য সংবাদ সম্মেলন করবেন ধোনি, তবে সেই সংবাদটি শেষ পর্যন্ত ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে।