জাতিসংঘকে পাশে নিয়ে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছে তুরস্ক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশ-তুরস্ক বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ করতেও একমত হয়েছে দুই দেশ।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় উদীয়মান উল্লেখ করে বলেন, প্রতিরক্ষাসহ একাধিক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী তুরস্ক।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, অংশীদারি বাড়ানোর সম্ভাবনায় ঢাকায় এসেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন ও শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে সফর শুরু করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে জানান, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী বছর ঢাকায় আসবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান।
এরপর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চলমান প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য দুই বিলিয়নে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানেও পাশে থাকবে তুরস্ক। বলেন, রোহিঙ্গাদের দ্বীপটিতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রয়োজন আছে।
তিনি জানান, তুরস্কের বড় বড় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। সামরিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি খাতেও সহযোগীতার ক্ষেত্র তৈরি করতে চাই। বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ ভিত্তিতে সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনেও আগ্রহী তুরস্ক। ঢাকায় বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সবার জন্য মঙ্গলজনক হবে এমন সময়ে আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ও ঢাকায় কামাল আতার্তুকের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। একই সাথে উদ্বোধন করবে দুই দেশ।
অন্যদিকে করোনা প্রতিরোধে তুরস্ক বাংলাদেশে সুরক্ষা ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাবে বলেও জানানো হয়েছে।