মাসেরও কম সময়ে ঘরের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর। গ্রুপে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া, যেকোনো দলের শক্ত পরীক্ষা নেওয়ায় পারদর্শী হয়ে ওঠা বাংলাদেশের মত দল। টুর্নামেন্টের আগে তাই যেকটা আন্তর্জাতিক ও প্রস্তুতি ম্যাচ আছে, ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করছে না ইংল্যান্ড। রোববার রাতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৫ রানের জয়ে সেটারই আরেকটি মহড়া সারল ইংলিশরা।
ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমদিনেই মাঠে নামবে। তাতে আগামী ১ জুনের প্রতিপক্ষ গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংলিশদের হারিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেওয়া বাংলাদেশ। পরে লাল-সবুজের মাটিতে এসে টেস্টে হেরে গেছে অ্যালিস্টার কুকের দল। পহেলা জুন নামার আগে ঝালিয়ে নিচ্ছে ইংল্যান্ড। বসে নেই মাশরাফির দলও। সাসেক্সে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে তিনশর ওপরে সংগ্রহ গড়েছে। এখন এই আয়ারল্যান্ডের মাটিতেই টাইগাররা। স্বাগতিকদের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে খেলবে ত্রিদেশীয় সিরিজ। তাতে ঝালিয়ে নিয়ে বাড়তি প্রস্তুতি সারবে বাংলাদেশও!
লর্ডসে জো রুটের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেটিসহ সিরিজ ২-০তেই জিতে নিল ইংল্যান্ড। এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ৩২৮ রান তোলে মরগানের দল। জবাবে ৪৬.১ ওভারে ২৪৩ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড।
উদ্বোধনীতে ৪৯ রানের শুরু পায় ইংল্যান্ড। জেসন রয় ২০ ও অ্যালেক্স হেলস ৩২ রানে ফিরে যান। পরে ইয়ন মরগান ও জো রুট ১৪০ রান যোগ করেন। স্বাগতিকরা তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পায়।
মরগার ও রুটের দুজনেই ফিফটি তুলে ফিরেছেন। রুট ৮ চারে ৭৩ বলে ৭৩ রানে আউট। অধিনায়ক মরগান ৫ চার ও ২ ছয়ে ৭৯ বলে ৭৬ রানে সাজঘরে হাঁটা দেন। দ্রুত স্যাম বিলিংসও (৭) তাদের অনুসরণ করেন।
সেখান থেকে জনি বেয়ারস্টো ও আদিল রশিদের ব্যাটে তিনশ পেরিয়ে যায় ইংলিশরা। দুজনে ৮৮ রানের জুটি গড়েন। ২৫ বলে ৫ চারে ৩৯ রানে ফেরেন রশিদ। আর ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৪৪ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন বেয়ারস্টো।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ারল্যান্ড দারুণ শুরুই করেছিল। এড জয়েস (১৬) ও পল স্টার্লিং ৬৮ রান যোগ করে। স্টার্লিং ৪২ বলে ৮ চার ও এক ছয়ে ৪৮ রানে ফেরেন।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড লড়াই চালিয়ে যান। ৮৩ বলে ৬ চার ও এক ছয়ে ৮২ রানের ঝলমলে ইনিংস আসে তার ব্যাটে। শেষদিকে জর্জ ডকরেল করেন ২৮ রান।
অনিয়মিত অফস্পিনার রুট ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৫২ রানে ৩ উইকেট নেন। লিয়াম প্লাঙ্কেটের ৩ উইকেট। মার্ক উডের দখলে দুটি।