বাংলাদেশের যুবাদের পক্ষে ২০২০ সালের বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব বলে মনে করেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ নাভিদ নওয়াজ। অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে প্রাথমিক দলে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে রোববার মিরপুরের একাডেমি মাঠে কাজ শুরু করেছেন এ শ্রীলঙ্কান।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য তৃতীয় স্থান অর্জন। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে থামে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন। পরে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারায় মিরাজ-শান্ত-সাউফউদ্দিনরা।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে ষষ্ঠ স্থান নিয়ে ফিরতে হয় সাইফ-আফিফদের। আগামী বিশ্বকাপ হবে সাউথ আফ্রিকায়। সেখানকার কন্ডিশনে ভালো খেলার জন্য যুবাদের যথাযথভাবে তৈরি করাই নতুন কোচের লক্ষ্য।
‘অবশ্যই আমি বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে চাই। বাংলাদেশের যে শক্তিমত্তা রয়েছে তাদের পক্ষে বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব বলে মনে করি। ছেলেদের যথেষ্ট স্কিল রয়েছে। তবে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল তাদেরকে কন্ডিশনের জন্য প্রস্তুত করা। সর্বশেষ যখন তারা নিউজিল্যান্ডে খেলেছিল, সেটি বাংলাদেশের থেকে একেবারেই আলাদা ছিল। আর এবার আমরা সাউথ আফ্রিকায় খেলবো। এখানকার কন্ডিশনও বেশ ভিন্ন, সুতরাং তাদেরকে এই কন্ডিশনের জন্য কিভাবে প্রস্তুত করবো সেটাই এখন বড় বিষয়।’
গত সপ্তাহে খুলনায় এইচপি দলের সঙ্গে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বাংলাদেশে এসেই খুলনায় চলে যান যুবাদের কোচ হয়ে আসা নাভিদ। রোববার মিরপুরে শুরু হওয়া ক্যাম্পে ছিলেন প্রাথমিক দলের সবাই।
‘খুলনায় ছেলেদের খেলা দেখেছি। তারা কয়েকটি ম্যাচ খেলেছে। একটি ধারণা পেয়েছি। ওখানে ১৫জন ছেলে ছিল। বাকিদের সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার অপেক্ষায় আছি কম্বিনেশন কিরূপ হবে সেটি জানতে। আমার পরিকল্পনা হবে ২০২০ সালের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে। এর আগে অনেক কাজ করতে হবে টেকনিক্যালি এবং শারীরিকভাবে ওদের ওই টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত করতে।’
‘আমাদের এখন পর্যন্ত হাতে যে সময় আছে সেটা কাজে লাগাতে হবে নিজেদের সর্বরূপে প্রস্তুত করার জন্য। আমি আসলেই অনেক রোমাঞ্চিত এই ছেলেদের দায়িত্ব নিতে পেরে। আমি মনে করি এটি অনেক বড় যাত্রা এবং তারা আগামীতে আসলেই অনেক ভালো করবে।’ -যোগ করেন নাভিদ।
শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে ৬ বছর কাজ করেছেন নাভিদ। তরুণদের মনন, ভাবনা তার ভালো করেই জানা। ৯০’র দশকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলেছেন ভিক্টোরিয়া, মোহামেডান ক্লাবের হয়ে। বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিও তার ভালোই জানা। ৪৪ বছর বয়সী এই লঙ্কানের নিজ দেশের হয়ে একটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা আছে।