বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেছেন: মানবসম্পদ উন্নয়ন বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্যে সীমিত সম্পদ দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন সারা পৃথিবীর জন্য শিক্ষণীয়।
তিনি বলেন: শহরের পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের জন্য একটি স্কুল ঘুরে দেখে তার উপলব্ধি, শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে সরকারকে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে শিক্ষায় অবকাঠামো এবং গুনগত মান উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকও বিনিয়োগ বাড়াবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
প্রথমবারের মতো ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টালিনা জর্জিভা। সফরের দ্বিতীয় দিনে বিশ্বব্যাংকের ঋণে স্কুল থেকে ঝরে পড়া বাচ্চাদের জন্য কার্যক্রম দেখতে যান মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান আরবান স্লাম আনন্দ স্কুলে।
রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন রস্ক প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের ১৪৮টি নির্বাচিত উপজেলা এবং ১১টি সিটি কর্পোরেশনে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ শিক্ষার্থীকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এনজিওদের মাধ্যমে পুরো কার্যক্রম চলছে।
কম আয়ের পরিবারের বাচ্চাদের শিক্ষার সুযোগ করার প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার আনন্দ জীবনের বড় পাওয়া বুলগেরীয় নাগরিক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা কিনোভার।
কম আয়ের পরিবার থেকে উঠে আসা জর্জিভা বিশ্বাস করেন, এদেশ থেকেই একদিন বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে যাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। আর এই বিশ্বাস তাকে অনুপ্রাণিত করেছে তীব্র গরম সহ্য করে বস্তির একটি স্কুলে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় কাটাতে।
শুক্রবার বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার।