কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখা কিংবা নতুন বছরের প্রথম প্রহর উদযাপনে ব্যাপক সংখ্যক পর্যটক সমাগম ঘটে প্রতিবছর। তবে এবছর আশানুরূপ পর্যটক না পাওয়ার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে প্রতি বছর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটে। তবে এবার করোনা মহামারীসহ নানান কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় পর্যটকের আগমনের হার কিছুটা কম বলে জানান ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম কিবরিয়া।
কলাতলী এলাকার হোটেল মালিক মোর্শেদুর রহমান বলেন: থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে কক্সবাজারে প্রতি বছর লাখো পর্যটকের ভিড় জমলেও এবারে আমাদের হোটেল গুলোর ৪০ শতাংশ কক্ষ খালি ছিল।
সূর্যাস্ত দেখার জন্য যেসব পর্যটক সৈকতে ভিড় করেছে তাদের অধিকাংশই স্থানীয় ছিল বলে জানান সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ব্যবসায়ী সমিতির নেতা কাশেম আলী।
হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কৈয়ুম চৌধুরী বলেন: করোনা মহামারীর কারণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় সমুদ্র সৈকত আর উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফার্স্ট নাইটের আয়োজন করা হয়নি। তবে তারকা মানের কিছু হোটেলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর বিশেষ খাবারের সীমিত আয়োজন ছিল।
আশানুরূপ পর্যটক না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন হোটেল দ্যা কক্স টুডের ম্যানেজার অপারেশন আবু তালেব শাহ।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের সিনিয়র পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দুই শতাধিক টুরিস্ট পুলিশ বিভিন্ন স্পটে দায়িত্ব পালন করছে। চার স্তরের নিরাপত্তার পাশাপাশি কক্সবাজারে আগত নারী পর্যটকদের জন্য আলাদাভাবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সিলেট থেকে আসা পর্যটক নাদিয়া রহমান বলেন: আমরা লন্ডন থাকি, কিন্তু সেখানে এত বড় লম্বা বালুকাময় সৈকত নেই, দেশে আসার পর এবার পরিবার নিয়ে কক্সবাজারের ছুটে এলাম। বছরের শেষ সূর্যকে বিদায় জানাতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।
সিরাজগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক নাজাত হোসেন বলেন, পরিবার নিয়ে এসে খুব মজা করছি। অনেক ভালো লাগছে, তবে এখানে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যাচ্ছে না। তাই এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন এই পর্যটক।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকরা যাতে কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হয়, সে জন্য একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সৈকত এলাকায় মোবাইল টিম রয়েছে। পর্যটকরা অভিযোগ করার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সমুদ্র সৈকত ছাড়াও, ইনানী, হিমছড়ি, দরিয়ানগর, পাটুয়ারটেক সহ নানা পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা দেখা গেছে।