“বঙ্গবন্ধু হত্যা শুধুমাত্র পরিবার কেন্দ্রিক ছিলো না, এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বাঙালির অধিকার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করতে চেয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে লাভবান হয়েছে একাত্তরের পরাজিত শক্তি।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪১ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত ‘জাতি নির্মাণ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু’শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
এসময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, হত্যাকারীদের মূল লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার মাধ্যমে পাকিস্তানের সাথে একটি কনফেডারেশন গঠন করা। পাকিস্তান একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তারা কিছুতেই চাইবে না বাংলাদেশ একটি কার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হোক। ফলে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য যত রকম উপায় আছে পাকিস্তানের দোসররা তার সব কিছু প্রয়োগ করে যাচ্ছে। আজকের আইএস, জঙ্গি হামলা এ সবই তার উদাহরণ।’
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য ও জাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির বলেন, স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার হরণের পথ তৈরি করেছিলো। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, চরম যন্ত্রণা থেকে মানুষ শুদ্ধ ও সাহসী হয়ে উঠে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন সময়ে যন্ত্রণা দিয়েছে, ষড়যন্ত্র করেছে। শেখ হাসিনা সেইসব যন্ত্রণা ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আজ শুদ্ধরূপে সরকার পরিচালনা করে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাচ্ছেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠে তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. খুরশিদা বেগম বলেন, বঙ্গবন্ধু অমরত্বের বর। দেশের মানুষের মনে বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন, এটাই জাতি নির্মাণে বঙ্গবন্ধুর স্বার্থকতা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে যে জাতি নির্মিত হয়েছে, সেই জাতি আজ দেশ পাহাড়া দিচ্ছে।
রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিকের পরিচালনায় সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আমির হোসেন, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ সম্পাদক রুহুল আমিন রেজভীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।