যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অবস্থান করা বঙ্গবন্ধুর দুই খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সম্ভব সব কিছু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেন, অন্যরা বার বার নিজেদের অবস্থান বদলে ফেলায় সনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে।
জাতীয় শোক দিবস ও ঈদের নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে ট্রাফিক সপ্তাহের শেষ দিনে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হন পুলিশ প্রধান। সেখানেই একথা বলেন তিনি।
বক্তব্যে ঊঠে আসে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় পুলিশের পদক্ষেপ ও তৎপরতার কথা। আইজিপি বলেন, গোয়েন্দারা তৎপর ছিলো বলেই নাশকতাকারী ও গুজব রটনাকারীদের দ্রুত সনাক্ত করা গেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে যারা বিদেশে পালিয়ে আছে তাদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোল ছাড়াও সম্ভব সবধরনের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান।
দেশের মহাসড়কগুলোতেও কোরবানীর পশুবাহী ট্রাক চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল ঠেকাতে কড়া নজরদারী থাকবে বলে জানান আইজপি।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনী রাশেদ চৌধুরী ১৯৭৬ সালে জেদ্দায় কূটনীতিক পদে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে তাকে দেশে ফেরত আসার নির্দেশ দিলে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেয় সে। বঙ্গবন্ধুর আরেক আত্মস্বীকৃত খুনী নূর চৌধুরী ১৯৭৬ সালে ব্রাসিলিয়ায় কূটনৈতিক জীবন শুরু করে। আওয়ামী লীগ সরকার তাকেও ফেরত আসার নির্দেশ দিলে আশ্রয় নেয় কানাডায়।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: