ফ্রান্সের রুয়েন শহরের কাছে একটি চার্চে পাদ্রী হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। জঙ্গি দলটির সাথে সম্পর্কযুক্ত ‘আমাক নিউজ এজেন্সি’ জানায়, “দুইজন আইএস সেনা” এই হামলা চালিয়েছে।
ওই ঘটনায় হামলাকারী দু’জন আইএস জঙ্গি ও চার্চের পাদ্রী নিহত হন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওলাদও বলেন, হামলাকারীরা আইএসের সাথে সম্পৃক্ততার দাবি করেছিলো। হামলাস্থল সেইন্ট-এতিয়েনে-দ্যু-রুভরে চার্চে উপস্থিত হয়ে ওলাদ বলেন, একে “কাপুরুষোচিত হত্যা” মন্তব্য করে আইএসের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে যুদ্ধের কথা বলেন।
ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের রুয়েন শহরের কাছে অবস্থিত চার্চটিতে স্থানীয় সময় সকালে ছুরি নিয়ে দুই হামলাকারী হঠাৎ করে ঢুকে যায় এবং চার্চের ভেতরে থাকা লোকজনদের জিম্মি করে। পরবর্তীতে দুই হামলাকারীর সঙ্গে জিম্মি পাদ্রী নিহত হন।
এ ঘটনায় প্রথমে জিম্মি ছিলেন ৬ জন। তাদের মধ্যে একজন পাদ্রী, দুই সিস্টার এবং কয়েকজন প্রার্থনাকারী ছিলেন। এদের একজন জিম্মি করার সময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তিনিই চার্চ থেকে বেরিয়ে আশপাশের লোকজনকে ব্যাপারটা জানান।
ফ্রান্স সম্প্রতি এ ধরণের হামলার কারণে ক’দিন পর পরই আলোচনায় আসছে। গত ১৪ জুলাই দেশটির নিস শহরে বাস্তিল দিবসের উৎসবে ট্রাক নিয়ে হামলা চালিয়ে ৮৪ জনকে হত্যা করে তিউনিশিয়ান বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক মোহাম্মদ লাওয়েজ বুলেল। পরে আইএস বুলেলকে নিজেদের যোদ্ধা বলে দাবি করে।
এর আগে প্যারিসের কাছের ম্যাগনাভিল শহরে পুলিশ কমান্ডারের বাড়িতে ছুরি নিয়ে হামলা চালায় ২৫ বছর বয়সী লারোসি আব্বাল্লা। ওই হত্যার ভিডিও ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করে এক আইএস সমর্থক।