Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

ফেসবুক থেকে সতীর্থদের দূরেই থাকতে বলছেন মাশরাফী

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। খুঁজে নিতে পারলে ইতিবাচক বিষয়ের শেষ নেই! তবে সচরাচর আলোচনার কেন্দ্রে থাকে নেতিবাচক জিনিসগুলোই। বাংলাদেশ দল বা ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত বিষয়াদি, আগ্রহ-আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে থাকে হরহামেশাই। বিশ্বকাপে টাইগারদের কাছে প্রত্যাশা থাকবে আকাশচুম্বী, সেখানে ভালোকিছুর প্রশংসা যেমন মিলবে, চুন থেকে পান খসলে মিলবে সমর্থকদের কড়া সমালোচনাও। এটি ক্রিকেটারদের ওপর আঁচড় কাটবে কতটুকু?

মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বললেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মন্তব্য তার বা সাকিবের মতো ক্রিকেটারদের উপর কোনো প্রভাব ফেলে না। তবে সবাই তো আর একরকমভাবে বিষয়গুলো সামলাতে পারেন না। বিশ্বকাপের সময় তাই সতীর্থদের ফেসবুকের মতো মাধ্যম থেকে দূরে থাকার পরামর্শই দিলেন অধিনায়ক।

আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ উড়াল দেবে পহেলা মে। সেখান থেকে সোজা ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস বিশ্বকাপে খেলতে যাবে। দেশে ফেরার বিমান ধরতে ধরতে প্রায় দুমাস পেরিয়ে যাবে। দীর্ঘ সফরের আগে সোমবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন টাইগার দলপতি। সেখানে দলের সম্ভাবনা, লক্ষ্য, ভালো-মন্দ অনেক বিষয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব নিয়েও কথা বলতে হল ম্যাশকে।

‘সোস্যাল মিডিয়া কখনোই আমাদের ভালো বা মন্দ খেলতে সহযোগিতা করবে না। বিশেষ করে আমাদের সোস্যাল মিডিয়া। এটা আমাকে বা সাকিবকে কোনো ইফেক্ট করে না। যাকে করে তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, তাকেই সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।’

মাঠের ক্রিকেটে চড়াই-উতরাই সময়ের অভিজ্ঞতা মাশরাফী-সাকিবের মতো ক্রিকেটারদের জন্য দীর্ঘ সময়ের। ভালোর জন্য প্রশংসা, মন্দের জন্য নিন্দা, সমর্থকদের এমন আচরণের সঙ্গে বহুবার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের। সমর্থকদের আবেগের জায়গাটার প্রতিও মাশরাফীর শ্রদ্ধা কম নয়।

কিন্তু দলের তরুণ সদস্য সাব্বির-সৌম্য-লিটনরা সমর্থকদের হঠকারী আচরণে মেজাজ হারিয়ে বসতে পারেন যেকোনো সময়েই। একবার যদি নেতিবাচক বিষয়গুলো তাদের মাথায় ভর করে, মাঠের খেলায় সেটির প্রভাব পড়াই স্বাভাবিক। আবার সতীর্থদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার মতো ব্যক্তিগত বিষয়ে ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম করে দেয়ার পক্ষপাতীও নন মাশরাফী! তবে আসরটা যেহেতু বিশ্বকাপ, চাপ-প্রত্যাশাটা যেহেতু সাধারণ সময়ের চেয়ে একেবারে ভিন্ন, সময়টাতে তাই ফেসবুকের মতো মাধ্যমকে দূরে রাখতেই সতীর্থদের পরামর্শ দিলেন অধিনায়ক।

‘এটা নিয়ে আসলে রুলস তৈরি করা যায় না। এটা ব্যক্তিগত জিনিস। তবে এর থেকে দূরে থাকতে পারলেই সব থেকে ভালো হয়। দুটা মাস, আমার কাছে মনে হয় টোটাল কনসেনট্রেশনটা আমাদের বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক থাকাটাই ভালো হবে। সেটা টিমের জন্য, দেশের ক্রিকেটের জন্যও ভালো হবে।’

Exit mobile version