ফেনীর তিন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। পানি নামতে শুরু করায় দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও তালিকা তৈরীর কাজ। তবে স্থায়ী সমাধান হিসেবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২১টি পয়েন্ট ভেঙে যায় গত ১৭ জুন। তলিয়ে যায় পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার ৩০টি গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়ে লক্ষাধিক মানুষ।
বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠছে গ্রামীণ রাস্তা, লণ্ডভণ্ড বাড়িঘর, মুরগি ও মাছের খামার, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেতের সবজি আউশ ফসল। সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলো মাঠে নেমেছে ক্ষতি নিরূপণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরিতে।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, বাঁধের স্থায়ী সমাধানে প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বন্যার পানি নামার পর সরকারি উদ্যোগে এখন পর্যন্ত কোনো সংস্কার বা পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু না হলেও নিজেদের উদ্যোগেই বাঁধ নির্মাণ ও রাস্তা সংস্কারে কাজে নেমে পড়েছেন স্থানীয়রা।