সাবেক সিনিয়র সচিব ও নন্দিত লেখক, সাংবাদিক ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাসকে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ ফুলে ফুলে শ্রদ্ধা জানিয়ে শেষ বিদায় জানিয়েছেন।
সকালে তার মরদেহ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে আনার ঘোষনায় সকাল থেকে চট্টগ্রামের সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, পেশাজীবী লেখক সহ সর্বস্তরের মানুষ জমায়েত হয়।
সকাল সোয়া ১১টায় ড. রণজিৎ বিশ্বাসের মরদেহ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে পৌঁছলে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহিদুল আলম, ড. বিশ্বাসের স্ত্রী শেলী সেন গুপ্তা সহ অন্যরা।
পরে একে একে জেলা প্রশাসক, সিটি মেয়র, প্রেসক্লাব, বিএফইউজেসহ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ডা. বিশ্বাসকে ফুলেল শেষ শ্রদ্ধা জানান।
তার একমাত্র কন্যা মুক্তা বিশ্বাস ও জামাতা কানাডা থেকে আগামী রোববার দেশে আসার পর রাঙ্গুনিয়ার পোমরা গ্রামে তার শেষ কৃত্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
তার স্ত্রীর অভিযোগ ড. রনজিৎ বিশ্বাস সরকার থেকে সঠিক মূল্যায়ন পাননি, এ নিয়ে তার ম্যধ্যে ব্যাপক হতাশা কাজ করছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাবেক সিনিয়র সচিব ও লেখক ড. রণজিৎ বিশ্বাস মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার রাতে চট্টগ্রামে এসে সার্কিট হাউজে উঠেন। বিকেল ৬টার দিকেও তিনি রুম থেকে বের না হওয়ায় এনডিসি তাকে ডাকতে যান। এ সময় ভেতর থেকে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে সার্কিট হাউসের কর্মচারিরা দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে বিছানায় শোয়া অবস্থায় ড. রণজিৎ বিশ্বাসের নিথর দেহ দেখতে পান। দ্রুত তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। সর্বশেষ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে তিনি অবসরে যান। ড. রণজিৎ বিশ্বাস সাংবাদিক ছাড়াও লেখক হিসেবে পাঠকনন্দিত ছিলেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিয়মিত কলাম লিখতেন। এছাড়া তার বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে।