জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান ইসরাইলকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিন হবে তাদের গোরস্থান। উত্থানের পর এই প্রথম ইসরাইলকে কোনো ধরনের হুমকি দিলো সংগঠনটি। একই সঙ্গে সৌদি আরবকেও হুমকি দিয়েছে আইএস। রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সৌদি নাগরিকদের প্রতি আহবান জানিয়েছে তারা। কাজে কর্মে আইএস আরো কঠোর হবে বলেও জানানো হয় অডিও বার্তায়।
শনিবার এক অডিও বার্তায় এই হুমকি দেন আইএস প্রধান। ইরাক ও সিরিয়ার বেশ কিছু এলাকা দখলের পর গত সাত মাসের মধ্যে এই প্রথম কোনো অডিও বার্তা দিলেন বাগদাদি। তবে এই বার্তা যে আইএস প্রধান বাগদাদিরই তা নিশ্চিত করতে পারেনি বার্তা সংস্থা রয়টার্স, এপি ও এএফপির কেউই।
এই বার্তা কখন রেকর্ড করা হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সৌদি আরবের নেতৃত্বে ৩৪ জাতির সন্ত্রাস বিরোধী জোট গঠনের পরই এই বার্তা রেকর্ড হয়েছে।
আইএসের প্রচার বিভাগের টুইটারে বাগদাদি বলেন, ‘সম্প্রতি তারা (সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট) ‘ইসলামের’ নামে ভুয়া জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে এবং জানিয়েছে তাদের লক্ষ্য খেলাফতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। এই জোট যদি ‘ইসলামিক’ হতো তাহলে সিরিয়ার জনগণকে তারা সাহায্য করতো।’
ইসরাইলকে উদ্দেশ্য করে বাগদাদি বলেন, ‘এটা ভেবো না যে, আমরা তোমাদের ভুলে গেছি। এক মুহূর্তেও আমরা তোমাদের ভুলি না। ধীরে ধীরে তোমাদের কাছে আসছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ দুনিয়ার সব ইহুদিকে ইসরাইলে এনে জড়ো করেছে এই কারণে, যাতে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সহজ হয়। তোমাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য।’
বাগদাদি বলেন, ‘ইহুদি, ফিলিস্তিনে তোমরা শাস্তি পাবে না। আল্লাহ তোমাদের সেখানে জড়ো করেছে যাতে মুজাহিদরা সহজে পৌঁছাতে পারে। তোমরা পাথর ও গাছে আড়ালে গিয়ে বাঁচার চেষ্টা করবে। কিন্তু পারবে না, ফিলিস্তিন হবে তোমাদের জন্য গোরস্থান।’
সৌদি রাজতন্ত্রকে আক্রমণ করে জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, ‘মুরতাদ জালেম ও নিষ্ঠুরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সিরিয়া, ইরাক এবং ইয়েমেনের মানুষের পাশে থাকুন।’
বার্তার শেষ দিকে বাগদাদি বলেন, সৌদি সরকার ইয়েমেনের হাউতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে শুধুমাত্র পশ্চিমাদের খুশি করতে।