চতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি খাতের দ্য ফারমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শামীমকে অপসারণে নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ফারমার্স ব্যাংকের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী ব্যাংকটির এমডিকে এ চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে আগামী সাত দিনের মধ্যে এমডিকে কেন অপসারণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে ব্যাংকে তারল্য ব্যবস্থাপনা করতে এমডি ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে নগদ জমা বা সিআরআরের এবং সংবিধিবদ্ধ জমা বা এসএলআরের অর্থ রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা না মেনে ব্যাংকটি ঋণ বিতরণ করছে।
চিঠির বিষয়ে জানতে ফারমার্স ব্যাংকের এমডি শামীমকে কয়েকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানি না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নিয়মের বেশি ঋণ দিয়েছে ফারমার্স ব্যাংক। এসব ঋণ আদায় না হওয়াতে ব্যাংকটিতে বড় ধরনের তারল্যসংকট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গ্রাহকের কাছ থেকে তেমন আমানতও পাচ্ছে না ব্যাংকটি। উল্টো আমানত তুলে নেওয়ার চাপ বাড়ছে।
এসব কারণে গত সেপ্টেম্বর শেষে ফারমার্স ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে ৩৭৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, বিতরণ করা ঋণের ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশই খেলাপি। মার্চ-জুন সময়ে ব্যাংকটি খেলাপি গ্রাহকদের থেকে মাত্র সাত কোটি টাকা আদায় করেছে।