Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

ফাইনালে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

ইমার্জিং এশিয়া কাপের ট্রফি নিজেদের ঘরে রেখে দিতে পারল না বাংলাদেশ। ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ৭৭ রানে হেরে আশাভঙ্গের বেদনায় পুড়তে হল সৌম্য-শান্ত-আফিফদের।

শনিবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের দেয়া ৩০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় আড়াইশর আগেই।

ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের চতুর্থ আসরে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান। ফাইনাল হেরে রানার্সআপ বাংলাদেশ।

লক্ষ্য বড় হলেও বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলে আশা জাগিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত (৪৬), আফিফ হোসেন ধ্রুব (৪৯)। তবে তারা কেউই টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।

শেষটায় মেহেদী হাসানের লড়াকু ৪২ হারের ব্যবধান যা একটু কমিয়েছে। তবে স্বাগতিকরা কেউই খেলতে পারেননি বড় ইনিংস।

স্কোর: পাকিস্তান-৩০১/৬ (৫০ ওভার), বাংলাদেশ-২২৪ (৪৩.৩ ওভার)

রানের চাপ মাথায় নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ছিল আগ্রাসী। তবে উইকেট আগলে রাখা যায়নি। বলে-ব্যাটে বিবর্ণ দিন কাটানো সৌম্য সরকার দুটি চার ও এক ছক্কায় ৬ বলে ১৫ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ১৭ বল খেলে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি আরেক বাঁহাতি ওপেনার নাঈম শেখ।

পঞ্চাশের আগেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়া দলকে ম্যাচে রাখেন অধিনায়ক শান্ত। ইয়াসির আলি রাব্বির সঙ্গে তার ৫১ রানের জুটিতে আশা দেখে বাংলাদেশ। জুটিটি ভাঙতেই শুরু হয় প্যাভিলিয়নে ফেরার মিছিল।

ইয়াসির ২২, জাকির হাসান ৯, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৫ রান করে সাজঘরে ফিরলে ম্যাচ থেকেই ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ।

আফিফ ও মেহেদী সপ্তম উইকেট জুটিতে ৪৮ রান যোগ করলে দুইশর পথ পাড়ি দেয় স্বাগতিকরা।

পাকিস্তান পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন নিয়েছেন ৩ উইকেট। সাইফ বাদার ও খুশদিল শাহ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রুহাইল নাজিরের সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০১ রান তোলে পাকিস্তানিরা। ১১১ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৩ রান করেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।

সুমন খান তিনটি, হাসান মাহমুদ দুটি ও মেহেদী হাসান নিয়েছেন একটি করে উইকেট। সেমিফাইনালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করা সৌম্য সরকার ফাইনালে ছিলেন বেশ খরুচে। ১০ ওভারে ৭৬ রান দিয়ে পাননি কোনো উইকেট।

সকালে বোলিংয়ে শুরুটা দারুণ করেছিল বাংলাদেশ। ষষ্ঠ ওভারে প্রথম আঘাত হানেন ডানহাতি পেসার সুমন খান। ওমর ইউসুফকে (৪) সাজঘরে পাঠান উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানিয়ে। পাকিস্তানের সংগ্রহ তখন ১৮ রান।

পাকিস্তানের দলীয় ফিফটির আগেই দ্বিতীয় সাফল্য পান সুমন। আরেক ওপেনার হায়দার আলিকে (২৬) ফেরান নাঈম শেখের ক্যাচ বানিয়ে।

তৃতীয় উইকেট জুটি বদলে দেয় পাকিস্তান ইনিংসের চেহারা। রুহাইল ও ইমরান রফিক জুটিতে ১১৭ রান যোগ করলে দেড়শ পেরিয়ে যায় তারা।

অফস্পিনার মেহেদী ভাঙেন জুটিটি। সৌম্যর হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইমরান। এ বাঁহাতি ৮৮ বলে করে যান ৬২ রান। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ‍২টি ছয়।

চতুর্থ উইকেটেও বড় জুটি গড়ে পাকিস্তান। সেঞ্চুরিয়ান রুহাইলের সঙ্গে অধিনায়ক সৌদ শাকিল ৮৫ রান যোগ করলে সংগ্রহ বড় হতে থাকে অতিথি দলের।

শাকিল ৪০ বলে ৪২ রান করে সুমনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন। ১১৩ রানের ইনিংস খেলা রুহাইল নাজিরকে এলবিডব্লিউ করেন হাসান মাহমুদ। পরে এ পেসার নেন খুশদিল শাহ’র উইকেটও। আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ২৭ করে যান খুশদিল। আহমেদ বাট অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে। খেলেন ৭ বল।

পাকিস্তানকে তিনশ’র মধ্যেই আটকে রাখা যেত। কিন্তু ক্যাচ মিসের মহড়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। ইয়াসির আলি রাব্বি একাই ছেড়েছেন দুটি সহজ ক্যাচ। পরে বড় রান তাড়া করা সম্ভব হল না।

Exit mobile version