অল্পের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি হয়নি ফখর জামানের। কিন্তু পাকিস্তানের বাঁহাতি ওপেনার ১৯৩ রানের যে ইনিংসটি উপহার দিয়েছেন, সেটি আলোচনার খোরাক যোগাবে দীর্ঘদিন। দিনশেষে অবশ্য হাসি নেই তার মুখে, ৩৪২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে তার দল যে জিততে পারেনি, সাউথ আফ্রিকা জয় তুলেছে ১৭ রানে।
জোহানেসবার্গে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ৩৪১ রান তুলেছিল সাউথ আফ্রিকা। বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৯ উইকেটে ৩২৪ রান পর্যন্ত যেতে পারে পাকিস্তান।
তিন ওয়ানডের সিরিজে এখন ১-১এ সমতা। বুধবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে লড়বে দুদল।
ডি কক ৮৬ বলে ৮০, মার্করাম ৩৪ বলে ৩৯, অধিনায়ক বাভুমা ১০২ বলে ৯২, ফন ডার ডুসেন ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৭ বলে ৬০, মিলারের ৩টি করে চার-ছয়ে ২৭ বলে অপরাজিত ৫০ রানে সাড়ে তিনশর কাছে লক্ষ্য জমায় প্রোটিয়ারা।
জবাব দিতে নেমে একসময় ১২০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। দলটির দুঅঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন ছয় ব্যাটসম্যান, তবে ফখরের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটি বাবরের ৩১ রানের। আর কেউ ২০-এর ঘরে যেতে পারেননি।
এমন দিনে ফখর ১৫৫ বলে রেকর্ডময় ১৯৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। যা সাজানো ১৮ চার ও ১০ ছক্কায়। রান আউটে ফিরেছেন ম্যাচসেরা লড়াই দিয়ে। তার ক্যারিয়ারে পঞ্চম শতক। প্রোটিয়াদের মাটিতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসও যেটি।
ফখরের ইনিংসটি লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের রেকর্ড গড়েছে। আগেরটি শেন ওয়াটসনের, বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১১ সালে ২৩০-এর পেছনে ছুটতে নেমে ১৮৫ করেছিলেন অজিদের সাবেক অলরাউন্ডার।
ফখর এদিন দলের ৫৯.৫৭ শতাংশ রান তুলেছেন একাই। যা পাকিস্তানের হয়ে রেকর্ড। দুইযুগ আগে ১৯৪ রানের ইনিংস খেলার পথে সাঈদ আনোয়ার দলের ৫৯.৩২ শতাংশ রান তুলেছিলেন, ভারতের বিপক্ষে।