আকরামুজ্জামান: সিমেন্ট, বালু কিংবা লোহার রড নয়, প্লাস্টিকের ব্যারেল দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রায় আধা কিলোমিটার দীর্ঘ ভাসমান সেতু। গ্রামবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্পূর্ন স্বেচ্ছাশ্রম আর নিজেদের অর্থেই ঝাঁপা বাঁওড়ে নির্মাণকাজ চলছে দৃষ্টিনন্দন ওই সেতুর।
এ সেতুর নির্মাণ শেষ হলে দুর্ভোগ লাঘব হবে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী তিন ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষের।
মনিরামপুরের রাজগঞ্জ বাজারের সঙ্গে ঝাঁপা গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম নৌকা। বহু বছরের দুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে আসেন ঝাঁপা গ্রামের ৫৬ জন যুবক। গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষকে নিয়ে তারা শুরু করেন ভাসমান সেতু তৈরির কাজ।
নিজেদের পরিকল্পনা দিয়েই ৮’শ ৩৯টি প্লাস্টিক ব্যারেল, ৮০০ মণ লোহার অ্যাঙ্গেল পাত ও ২৫০টি লোহার শীট ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন চার ফুট চওড়া এক হাজার ফুট দীর্ঘ সেতুটি। তাদের সঙ্গে এ কাজে যুক্ত রয়েছেন রাজগঞ্জ বাজারের লেদ কারিগর রবিউল ইসলাম।
সেতুটি নির্মাণে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৪০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। পুরোপুরি কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
বাঁওড়ের ওপর সেতু হওয়ায় খুশি ঝাঁপা এলাকার নারী-পুরুষ। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও।
চলতি মাসের শেষের দিকে সেতুটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।